‘স্কিৎজ়োফ্রেনিয়া’ বা ‘ওসিডি’ থাকলেও এমন সব জিনিস খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ছবি- সংগৃহীত
এমনিতে আপাত ভাবে কোনও রোগ নেই। দেখলে বোঝাও যায় না যে সুস্থ অবস্থায় কোনও মানুষ খাবার নয়, এমন কোনও জিনিস খেতে পারেন। চিকিৎসকদের মতে, এই রোগ বেশি দেখা যায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং শিশুদের মধ্যে। কী হয় তাতে? মাটি, চক, ছেঁড়া কাগজ— খাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এই রকম সমস্যা দেখা দিলে সাধারণ রক্তে আয়রনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসা পরিভাষায় এই রোগকে বলা হয় ‘পিকা’।
‘পিকা’ কী?
চক, মাটি, ধুলো, পেনসিলের শিস, চুল, সাবান, কাগজের মতো কিছু জিনিস, যা মানুষের খাবার হিসাবে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়, তেমন খাবার খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করাই ‘পিকা’-র লক্ষণ।
এমন রোগ কেন হয়?
চিকিৎসকদের মতে, এই রোগের জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। তবে আয়রন ছাড়াও জ়িঙ্ক বা অন্যান্য খনিজের ঘাটতি থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে। কারও মানসিক সমস্যা বা ‘স্কিৎজ়োফ্রেনিয়া’ বা ‘ওসিডি’ থাকলেও এমন সব জিনিস খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
‘পিকা’-র মতো রোগ দীর্ঘ দিন ধরে থাকলে তা পেটের নানা সমস্যার কারণ হতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
এই রোগের চিকিৎসা কী?
‘পিকা’-র সমস্যা যেহেতু মানসিক, তাই তা সারানোর নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। তবে কারও যদি মাটি, চক, ধুলো, সাবানের মতো কিছু খাওয়ার ইচ্ছা হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ‘পিকা’-র মতো রোগ দীর্ঘ দিন ধরে থাকলে তা পেটের নানা সমস্যার কারণ হতে পারে। ওষুধের পরিবর্তে আয়রন এবং জ়িঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে।