অভিনেত্রী সারা আলি খানের ৪৫ কেজি ওজন ঝরানোর পিছনে কার অনুপ্রেরণাও কাজ করেছিল? ছবি: সংগৃহীত।
এক সময় চেহারার জন্য যাঁকে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে, এখন তাঁর নির্মেদ শরীরই চর্চার বিষয়। একসময় যিনি ব্রাউনি, চকেলেটের জন্য পাগল ছিলেন, এখন তাঁর একটি দিনও শরীরচর্চা ছাড়া কাটে না।
বি টাউনের চর্চিত অভিনেত্রী সারা আলি খান। নায়িকার ওজন এক সময় ছিল ৯৬ কেজি। তখন অবশ্য তাঁর পরিচয় ছিল শুধুই তারকা-সন্তান। এখন তিনি বি টাউনের নায়িকা। অভিনেত্রীর ৯৬ থেকে ৪৫ কেজি ওজন ঝরিয়ে নায়িকা হয়ে ওঠার গল্প এখন জানেন অনেক অনুরাগীই।
তবে, এই রূপান্তরের পিছনে একজনের অনুপ্রেরণাও ছিল। বেশ কিছু দিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে সইফ আলি খান এবং অমৃতা সিংহের কন্যা জানান, তাঁর ভোলবদলের পিছনে ছিল একটি প্রস্তাব। চলচ্চিত্র পরিচালক কর্ণ জোহর সারাকে একটি চরিত্রের জন্য ভেবেছিলেন। তবে তিনি এ-ও বলেছিলেন, সেই চরিত্রে অভিনয় করতে হলে সারাকে তাঁর অর্ধেক ওজন কমিয়ে ফেলতে হবে।
অভিনেত্রী তাঁর কেরিয়ার শুরু করেন ২০১৮ সালে ‘কেদারনাথ’ ছবিটি দিয়ে। সেই ডেবিউ ছবির পরিচালক কর্ণ জোহর ছিলেন না। তার পরিচালক ছিলেন অভিষেক কপূর। সিনেমায় তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। ওই বছরেই ‘সিম্বা’ নামে আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন সারা, যার পরিচালক ছিলেন রোহিত শেট্টি। ফলে কর্ণ ঠিক কোন ছবির কোন চরিত্রের জন্য সারার কথা ভেবেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে শোনা যাচ্ছে, অ্যাকশন-কমেডির মোড়কে কর্ণের আগামী ছবি ‘ড্রিম গার্ল-২’-এ নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে সারাকে। প্রথম বার এই ছবিতে জুটি বাঁধবেন আয়ুষ্মান খুরানা এবং সারা আলি খান।
একদা মেদবহুল সারা অবশ্য এখন কর্ণ জোহরের শর্ত পূরণ করেছেন। তাঁর চেহারা রীতিমতো ঈর্ষণীয়। লাবণ্যও কম নয়। তবে সারার কথায়, এমন চেহারা ধরে রাখা মোটেই সহজ নয়। প্রতিনিয়ত সেই চেষ্টাই করতে হয়। ৯৬ কেজি ওজন প্রসঙ্গে সারা বলেন, সে সময় তাঁর ওজনের কোনও মাপকাঠি ছিল না। পুরোটাই যে খাওয়াদাওয়ার কারণে হয়েছিল, তা-ও নয়। নেপথ্যে ছিল হরমোনের ভারসাম্যহীনতার প্রভাব।
তবে চাইলে যে অনেক কিছুই হয়, তা প্রমাণ করেছেন বি-টাউনের নায়িকা। কড়া ডায়েট, নিয়মিত শরীরচর্চায় ধীরে ধীরে মেদ ঝরিয়েছেন। এখন মাত্রা বুঝেই খাওয়াদাওয়া করেন অভিনেত্রী। একই সঙ্গে তাঁর উপলব্ধি, ভাজাভুজি বা অস্বাস্থ্যকর খাবার শুধু ওজন বাড়িয়ে দেয় না, মানসিক স্বাস্থ্য এবং হরমোনের ভারসাম্যও বিগড়ে দেয়। ওজন যাঁরা কমাতে চাইছেন, তাঁদের জন্য সারার পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চার। সেই সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর খাবার জীবন থেকে বাদ দেওয়া দরকার।