কাশির সিরাপেই শিশুমৃত্যু? প্রতীকী ছবি
আফ্রিকার দেশ গ্যাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চারটি কাশির সিরাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’। এই সিরাপগুলি তৈরি করে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামের হরিয়ানার সোনেপতের একটি ওষুধ নির্মাতা সংস্থা। বুধবার একটি নির্দেশিকা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, “দয়া করে এই ওষুধগুলি ব্যবহার করবেন না।”
প্রোমেথাজি়ন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কাফ সিরাপ, মেকফ বেবি কাফ সিরাপ এবং মাগরিপ এন কোল্ড সিরাপ নামের চারটি কাশির সিরাপের সঙ্গে আফ্রিকার ওই শিশুমৃত্যুর ঘটনার যোগ রয়েছে বলে আশঙ্কা ‘হু’-এর। তাদের দাবি, যে ভারতীয় সংস্থা ওই ওষুধগুলি বাজারে এনেছে তারা এখনও ওষুধগুলির গুণমান ও সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, “ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এই চারটি পণ্যের প্রতিটিতেই ডাইইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল নামের দূষক পদার্থের মাত্রা গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি।” এই পদার্থগুলি নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে বেশি পরিমাণে শরীরে ঢুকলে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে যেতে পারে শিশুরা। দেখা দিতে পারে পেটব্যথা, বমি, মূত্রত্যাগের সমস্যা ও কিডনির গুরুতর সমস্যা। হতে পারে মৃত্যুও, দাবি ‘হু’-এর।
গোটা বিষয়টি নিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, খবর স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে। শুরু হয়েছে তদন্ত। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে কেবল গ্যাম্বিয়াতেই ওষুধ রফতানি করেছে সংস্থাটি। অন্য কোনও দেশে এই ওষুধ গিয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও। গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ ওষুধ নির্মাতা সংস্থার।