ওজন ঝরানোর ডায়েটে ফল রাখার কথা বলেন পুষ্টিবিদরা। প্রতীকী ছবি।
পাকা পেঁপের গন্ধে নাক সিঁটকোন অনেকেই। কিন্তু জানেন না, তার কত গুণ। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ— সকলেই এই ফলকে ‘মহৌষধ’ বলে মনে করেন। শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে, বয়স্কদের অর্শের সমস্যা কমানোর জন্য ডায়েটে সবার আগে এই ফল রাখার কথা বলা হয়। বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের প্রাকৃতিক উৎস পাকা পেঁপে চোখের জন্যও উপকারী। বিটা ক্যারোটিনে ভরপুর পাকা পেঁপে ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওজন ঝরানোর ডায়েটেও ফল রাখার কথা বলেন পুষ্টিবিদরা।
ওজন ঝরাতে অনেকেই অনেক রকম নামী-দামি দ্রব্য ব্যবহার করি। বিভিন্ন সংস্থা তাঁদের বিজ্ঞাপনে বলেন, ‘‘তাঁদের দ্রব্য নাকি বশেষ ‘ফ্যাট বার্নিং এজেন্ট’ থাকে। সে সব শেক, সাপ্লিমেন্ট, বড়ি খেলেই নাকি দ্রুত ঝরবে মেদ। পুষ্টিবিদদের মতে, সামান্য খরচ করেই আপনি কিন্তু রোগা হতে পারেন। ভরসা রাখতে পারেন পাকা পেঁপেতে।’’
পেঁপে মুখের রুচি ফেরায়। সেই সঙ্গে খিদেও বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে। পেট পরিষ্কার থাকলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। হজমে সাহায্য করে এই ফল। পাকা পেঁপেতে যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার থাকায় তা অন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষা করে। পাশাপাশি, বিপাকহারও বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়াও যাঁরা ওজন কমাতে ডায়েট মেনে খাবার খেয়ে থাকেন, তাঁদের জন্যও ভাল পাকা পেঁপে।
পাকা পেঁপেতে যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার থাকায় তা অন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষা করে। ছবি: সংগৃহীত।
আর কী কী গুণ আছে পাকা পেঁপের?
১) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর পাকা পেঁপে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যধির প্রতিরোধক। এ ছাড়াও পেঁপেতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন সি এবং ই, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২) হার্টের স্বাস্থ্যরক্ষা করে
হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পটাশিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদ্রোগ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে এই যৌগ। প্রাকৃতিক ভাবে পটাশিয়ামের উৎস হল পাকা পেঁপে।
৩) অনিয়মিত ঋতুচক্রের সমস্যা কমায়
অনেক মহিলাই অনিয়মিত ঋতুচক্রের সমস্যায় ভোগেন। এমনটা হলে ডায়েটে পাকা পেঁপে রাখতে পারেন। সমস্যা দূর হবে।