বাদাম খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। ছবি- সংগৃহীত
স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করলে জলে ভেজানa কাঁচা চিনেবাদাম, আখরোট বা কাঠবাদাম আর সুরার সঙ্গে ‘চাট’ হিসeবে নুন, মশলা সহযোগে কাজুবাদাম। বাদাম নিয়ে বেশির ভাগ মানুষের বাদাম সম্পর্কে ধারণা এইটুকুই। তবে বাদাম যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী সে ধারণা রয়েছে সকলেরই। বাদাম খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে বাদাম। কিন্তু কী ভাবে খেলে বাদাম শরীরের এতগুলি কাজ সঠিক ভাবে করতে পারবে, তা জানেন?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ বাদাম খাওয়া যায় দু’ভাবে। হয় শুকনো খোলায় ভেজে, না হয় কাঁচা। শুকনো খোলায় মশলা ছাড়া ভাজা বাদাম যথেষ্ট উপকারী। তবে স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করলে কাঁচা বাদাম খাওয়াই ভাল।
শুকনো খোলায় বাদাম ভেজে খেলে কী উপকার হয়?
বাদাম যে ভাবেই খান তা উপকারী। তবে শুকনো খোলায় ভেজে খেলে তা মুচমুচে হয়। স্বাদও খানিকটা বদলে যায়। যাঁদের বাদাম হজম করতে সমস্যা হয়, তাঁদের জন্যও ভাজা বাদাম ভাল। ওজন ঝরাতে চান বলে বাদাম খান না একেবারেই। এ ক্ষেত্রেও কিন্তু উপকারী শুকনো খোলায় ভাজা বাদাম।
বাদাম ভাজলে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়?
অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বাদামের ভাল ফ্যাট নষ্ট হতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিনের পরিমাণও হ্রাস পেতে পারে। ভাজা বা রোদে রাখা বাদাম ঠান্ডা না করে শিশিতে ভরে রাখলেও পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে।
কী ভাবে বাদাম খেলে তার পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে?
সবচেয়ে ভাল হয় বাজার থেকে কাঁচা বাদাম কিনে তা বাড়িতে শুকনো খোলায় ভেজে নিলে। তবে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখলে এর মধ্যে তেল বা নুন কোনওটাই দেওয়া যাবে না।