চিয়া না তিসি, কোনটা খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে বীজের ভূমিকা রয়েছে। সকালে উঠে এক দিন চিয়া ভেজানো জল খান, তো অন্য দিন তিসি বা ফ্ল্যাক্স সিড ভেজানো জল। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরানো থেকে পেটের গোলমাল সামাল দেওয়া— সবই করতে পারে এই সব বীজ। ক্যালশিয়াম, জ়িঙ্ক, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাস— প্রায় একই রকম খনিজে সমৃদ্ধ চিয়া এবং ফ্ল্যাক্সসিড। তবে এই দুই বীজের কাজ ভিন্ন।
চিয়া বীজ শরীরে কোন কোন কাজে লাগে?
চিয়া বীজের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, নানা রকম প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর এই বীজ। এ ছাড়া এই বীজের মধ্যে ফাইবারের উপাদান বেশি। নিয়মিত চিয়া খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। এ ছাড়াও এই বীজের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। চিয়া বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পারে এই বীজ।
ক্যালশিয়াম, জ়িঙ্ক, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাস— প্রায় একই রকম খনিজে সমৃদ্ধ চিয়া এবং ফ্ল্যাক্সসিড। ছবি: সংগৃহীত।
ফ্ল্যাক্সসিড শরীরে কোন কোন কাজে লাগে?
হজমের সমস্যা থাকলে তা নিরাময় করবে ফ্ল্যাক্স সিড বা তিসি বীজ। নিয়মিত তিসি খেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমাবে। এমনকি, ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে এই বীজে। অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ফ্ল্যাক্স সিড। চিয়ার মতো তিসির মধ্যেও রয়েছে ওমেগা-৩ জাতীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, যা উচ্চ রক্তচাপ, হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমায়। এই বীজের মধ্যে থাকা ফাইবার পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি রাখে। পেট ভরা থাকলে বাইরের ভুলভাল খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমে।