বডি পলিশ করুন বাড়িতেই। ছবি: সংগৃহীত।
ঘরে-বাইরে কাজ সামলেই বিয়ের তোড়জোড় করতে হচ্ছে। একটুও দম ফেলার সময় নেই। মাঘের প্রথমেই বিয়ে। সারা বছর যেমন তেমন ভাবে থাকলেও বিয়ের জন্য একটু ধোপদুরস্ত তো হতেই হবে। সালোঁয় গিয়ে ফেসিয়াল, আইব্রো, পেডিকিয়োর, ম্যানিকিয়োর করলেও বডি পলিশিং করার মতো সময় দেওয়া সম্ভব নয়। অথচ এত দিন ধরে ঝড়-জল-রোদে পোড়া ত্বকে বিয়ের জল পড়লেও তৎক্ষণাৎ তা চকচকে হয়ে উঠবে না। তা হলে উপায়? কম খরচে বাড়িতে বসে বডি পলিশিং করার পদ্ধতি রইল এখানে।
বডি পলিশ করতে হাতের কাছে কী কী রাখবেন?
ত্বকের ধরন বুঝে ভাল মানের এক্সফোলিয়েটর, হাইড্রেটিং বডি মাস্ক, একটি স্ক্রাবিং ব্রাশ বা লুফা, বডি অয়েল এবং ময়েশ্চারাইজ়ার সঙ্গে রাখুন। চাইলে পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েলও রাখতে পারেন।
ধাপে ধাপে বডি পলিশ করবেন কী ভাবে?
১) প্রথমে নরম কোনও ব্রাশ বা লুফা দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। গায়ে জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই প্রক্রিয়াকে ‘ড্রাই ব্রাশিং’ বলা হয়। ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে এই ড্রাই ব্রাশিং।
২) গায়ে সামান্য জল ঢেলে নিন। এ বার এক্সফোলিয়েট করুন। দেহের রুক্ষ অংশগুলোয় বেশি নজর দিন। কনুই, হাঁটু, গোড়ালির মতো তুলনায় মোটা চামড়া একটু বেশি চাপ দিয়ে ঘষে নিন।
৩) বাজার থেকে কেনা মাস্ক ব্যবহার না করতে চাইলে ঘরোয়া উপাদান দিয়েই তা তৈরি করে ফেলতে পারেন। তার জন্য টক দই, মধু এবং অ্যালো ভেরা জেল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখের চেয়ে দেহ সাধারণত শুষ্ক হয়। তাই এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। সারা গায়ে এই প্যাক মেখে রেখে দিন মিনিট কুড়ি।
৪) প্যাক পুরোপুরি শুকোনোর প্রয়োজন নেই। এ বার ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে সমস্ত শরীর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রে যেন প্যাক জমে না থাকে।
কম খরচে বাড়িতে বসে বডি পলিশিং করার পদ্ধতি রইল এখানে। ছবি: সংগৃহীত।
৫) এ বার নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা হাতে গা মুছে নিন। গায়ে যে তেল মাখেন তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। চাইলে নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন। সারা গায়ে ভাল করে এই তেল মেখে নিন।
৬) শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে তেলের মাখার কিছু ক্ষণ পর ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নিন। ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখবেন। তেল মাখছেন বলে ক্রিম মাখার প্রয়োজন নেই, এমনটা ভাবার কিন্তু কোনও কারণ নেই।
৭) খুব চটচট করলে তেল মাখার পর গায়ে এক বার জল ঢেলে নিয়ে তার পর ময়েশ্চারাইজ়ার মাখুন। শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় গোড়ালি, কনুই, হাঁটু কিংবা নিতম্ব বেশি খসখসে। তাই এই সব অংশে একটু বেশি ক্রিম মাখলে ক্ষতি নেই।