— প্রতীকী চিত্র।
ডায়াবিটিস আছে? কার যে এখন ডায়াবিটিস নেই, তা খুঁজতে গাঁ উজাড় হয়ে যাওয়ার জোগাড়। শরীরচর্চায় অনীহা, ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতা, ধূমপান, মদ্যপান, মানসিক চাপ— রক্তে শর্করার মাত্রা দিন দিন বাড়িয়ে তুলছে। বয়স ৩০-এর কাছাকাছি পৌঁছলেই পছন্দের প্রায় সব খাবার খাওয়া বারণ হয়ে যাচ্ছে। ছোটরাও যে এই তালিকার বাইরে, তেমনটা কিন্তু নয়। খেলাধুলো না করা প্রক্রিয়াজাত মুখরোচক ভাজা খাবার, নরম পানীয় খাওয়ার প্রতি ঝোঁক অল্প বয়সে টাইপ-২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে তুলছে। স্বাভাবিক ভাবেই যে সব খাবারে কার্বোহাইড্রেট বা ক্যালোরির পরিমাণ বেশি সেই সব খাবার খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদেরা। তবে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলেও পরিমিত পরিমাণে ভাত, রুটি খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। কিন্তু টুকটাক খিদে পেলে বা রাতে সিরিজ় দেখতে দেখতে মুখ চালাতে ইচ্ছা হলে কী কী খাবার খাওয়া যেতে পারে?
১) একমুঠো বাদাম
কাঠবাদাম, আখরোট, চিনাবাদাম, সামান্য কাজু এবং পেস্তাবাদাম একসঙ্গে মিশিয়ে একমুঠো খাওয়া যেতে পারে। সামান্য খিদে মেটানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের জোগান দিতে পারে বাদাম।
২) সেদ্ধ ডিম
প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস হল ডিম। অথচ কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নেই বলেলই চলে। দু’টি আটার বিস্কুটের সঙ্গে যদি একটি সেদ্ধ ডিম খেলে পেটও ভর্তি থাকে, আবার রক্তে শর্করার পরিমাণও বেড়ে যায় না।
৩) আটার বিস্কুট
বিস্কুট, কুকিজ় সাধারণ ময়দা থেকেই তৈরি হয়। ময়দায় ট্রান্স ফ্যাট বেশি, ফাইবার কম। তাই এই ধরনের খাবার বেশি খাওয়া মোটেই ভাল নয়। তবে গমের আটা বা মিলেটের আটা দিয়ে তৈরি বিস্কুট, কুকিজ় খেলে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
— প্রতীকী চিত্র।
৪) ভুট্টার খই
মাখন, চিজ় বা ক্যারামেল দেওয়া ভুট্টার খই খেতে ভাল লাগে। কিন্তু তা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য মোটেই ভাল নয়। তবে শুকনো বালিতে ভাজা পপকর্ন খাওয়া যায় অনায়াসে।
৫) শুকনো খোলায় ভাজা ছোলা
ছোলায় প্রোটিন এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি। সিরিজ় দেখতে দেখতে চিপ্স, নাচোস, চকোলেটের পরিবর্তে ভাজা ছোলা খাওয়া যেতেই পারে।