ছবি: কুকপ্যাড.কম।
বাজার থেকে আস্ত একটা রুইমাছ কিনেছেন। বর্ষাকাল, তাই যে কোনও মাছেরই পেটের মধ্যে ডিম থাকার সম্ভাবনা বেশি। হলও তা-ই। এতটা ডিম রয়েছে যে মাছের পেটিগুলিই পাতলা হয়ে গিয়েছে। ওই পাতলা পেটি ভেজেই খেয়ে ফেলতে হবে। তবে মাছের ডিম দিয়ে কিন্তু বহু পুরনো একটি পদ রেঁধে ফেলতে পারেন। ভাত বা রুটি দুটোর সঙ্গেই দারুণ জমবে মাছের ডিমের বড়ার ঝোল। কী ভাবে রাঁধবেন? রইল সেই প্রণালী।
উপকরণ:
মাছের ডিম: ২৫০ গ্রাম
বেসন: ২ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুচি: আধ কাপ
আদা-রসুন বাটা: ১ টেবিল চামচ
টোম্যাটো: আধ কাপ
ধনেপাতা: আধ কাপ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা: ৩টি
তেজপাতা: ১টি
শুকনো লঙ্কা: ১টি
গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
চিনি: ১ চা চামচ
তেল: ৪ টেবিল চামচ
প্রণালী:
১) প্রথমে কাঁচা লঙ্কা এবং পেঁয়াজ মিহি করে কেটে নিন।
২) একটি পাত্রে মাছের ডিম, হলুদ গুঁড়ো, নুন, কেটে রাখা পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা এবং লঙ্কা দিয়ে ভাল করে চটকে মেখে নিন।
৩) ওই মিশ্রণের মধ্যে বেসন দিয়ে দিন। ভাল করে মেখে ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন যেন দলা পাকিয়ে না যায়।
৪) এ বার উপর থেকে ওই মিশ্রণে দিয়ে দিন ধনেপাতা।
৫) কড়াইতে তেল গরম হলে সেখান থেকে ১ টেবিল চামচ তেল মাছের ডিমের মিশ্রণে দিয়ে দিন। আবার ভাল করে মেখে রাখুন।
৬) তেল গরম হলে আঁচ আস্তে করে বড়াগুলি কড়ার মধ্যে ছেড়ে দিন। হালকা আঁচে বড়াগুলি ভেজে তুলে রাখুন।
৭) এ বার ওই তেলের মধ্যেই শুকনো লঙ্কা, গোটা গরম মশলা এবং তেজপাতা দিন।
৮) সামান্য ভাজা হয়ে এলে এর মধ্যে দিয়ে দিন পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা।
৯) ভাজা হয়ে এলে দিয়ে দিন টোম্যাটো কুচি। সামান্য নুন দিন এই সময়ে।
১০) টোম্যাটো নরম হয়ে এলে সমস্ত গুঁড়ো মশলা দিয়ে কষিয়ে নিন।
১১) মশলা যাতে পুড়ে না যায়, তার জন্যে সামান্য জল দিতে পারেন। এই সময় দিয়ে দিন সামান্য নুন এবং চিনি।
১২) ফুটে উঠলে মাছের ডিমের বড়াগুলি ঝোলের মধ্যে দিয়ে দিন।
১৩) সব শেষে উপর থেকে ধনে পাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।