কয়েকটি শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে রসুন এড়িয়ে চলার কথা বলেন চিকিৎসকরা। ছবি: সংগৃহীত
আমিষ রান্নায় স্বাদ বাড়ানো থেকে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া— রসুনের ভূমিকা সবেতেই অনবদ্য। বিশেষ করে শীতকালে নিজেকে সুস্থ রাখতে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন রসুনে। হেঁশেলের এই অতি পরিচিত আনাজটির রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ। পুষ্টিবিদরাও শরীর ভাল রাখতে রোজ এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। রসুন নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। তবে সকলের জন্য নয়। কয়েকটি শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে রসুন এড়িয়ে চলার কথা বলেন চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হওয়া সত্ত্বেও কারা এড়িয়ে চলবেন রসুন?
গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থাকলে
মাংস খেলেই অনেকের গ্যাস হয়ে যায়। বেশি তেল-মশলা দিয়ে রান্না করা বলেই বোধ হয় এমন হয়, অনেকের তেমনটাই মনে হয় প্রাথমিক ভাবে। এই গ্যাসের মূলে কিন্তু থাকতে পারে রসুনও। মাংস রান্নার অন্যতম একটি উপকরণ রসুন। রসুন গ্যাসের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। গ্যাস-অম্বল যদি নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে থাকে, তা হলে রসুন এড়িয়ে চলাই ভাল।
অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ অত্যধিক কমে যায়। প্রতীকী ছবি।
ডায়াবিটিস
অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ অত্যধিক কমে যায়। যা ডায়াবেটিকদের জন্য সমস্যাজনক হয়ে উঠতে পারে। ডায়াবিটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণে একটা ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। খুব বেশিও নয়, আবার কমও নয়। শর্করার পরিমাণ অত্যধিক বেড়ে গেলে যেমন সমস্যা, কমে গেলেও তাই। তবে পরিমিত পরিমাণে খেলে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
রক্ত পাতলা হলে
অনেকেরই রক্ত বেশ পাতলা। এমন হলে ভুলেও রসুন খাবেন না। কারণ রসুন আরও বেশি করে রক্ত পাতলা করে দেয়। তাতে সমস্যা আরও জাঁকিয়ে বসবে। ঝুঁকি এড়াতে রসুন দিয়ে রান্না করা খাবার বেশি খাবেন না।
শরীরে দুর্গন্ধের সমস্যা
ঘেমেনেয়ে শরীর থেকে বিকট গন্ধ বেরোয়। অনেকেরই হয় এমন। গরমে আরও বেশি করে হয়। তবে এই সমস্যা থাকলে বেশি রসুন না খাওয়াই ভাল। রসুন খেলে গায়ের গন্ধ আরও বেড়ে যেতে পারে।