টিফিনে এমন কিছু খাবার নিয়ে যান, যাতে পেটও ভরবে আবার কাজের গতিও বাড়বে। ছবি: সংগৃহীত
বা়ড়িতে থাকলে নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করা সম্ভব হলেও, অফিসে থাকলে তা হয় না। কাজের চাপ, একের পর এক মিটিং সব মিলিয়ে একেবারে কাজে ডুবে থাকা ছাড়া উপায় নেই। ঘড়ি ধরে খাওয়া তো দূর, খাওয়ার সময়ই পাওয়া যায় না। দীর্ঘ দিনের এই অনিয়মে নানা রোগ হানা দেয় শরীরে। স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়াদাওয়া করাটাই দস্তুর। তেমনটাই বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু সে কথা জানা থাকলেও মেনে চলাটা সব সময় সম্ভব হয় না। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, খাওয়ার সময় না পেলেও টিফিনে এমন কিছু খাবার নিয়ে যান, যাতে পেটও ভরবে আবার কাজের গতিও বাড়বে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া হবে। রইল তেমন কিছু খাবারের সন্ধান।
ডিম
পোচ, ডিমসেদ্ধ, অমলেট— ডিম যে কোনও ভাবেই খাওয়া যায়। বেশি রান্না করার প্রয়োজন পড়ে না। রোজ একটি করে সেদ্ধ ডিম সঙ্গে করে নিয়ে যান। কাজের মাঝে খাওয়া খুব সমস্যার হবে না, আবার সকালে তৈরি হতে হতে একটি ডিম সেদ্ধ করে নেওয়াও ঝক্কির নয়। এতে থাকে ভরপুর প্রোটিন। ফলে কাজে গতি আসে। শক্তি পায় শরীর। অনেক ক্ষণ পেটও ভরা থাকে। একই সঙ্গে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে।
কাঠবাদাম
শরীরের যত্ন নিতে কাঠবাদামের জুড়ি মেলা ভার। অফিসে নিজের ড্রয়ারে একটি কৌটো ভর্তি করে রেখে দিতে পারেন। না হলে ব্যাগে একটি ছোট্ট কৌটো রাখুন। কাজের ফাঁকে রোজ তিন-চারটি কাঠবাদাম খেয়ে নিন। পেট ভরবে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও যাবে শরীরে।
স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়াদাওয়া করাটাই দস্তুর। প্রতীকী ছবি।
শসা
শসায় অনেকটা ফাইবার থাকে। তাই বেশ অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ভাজাভুজি কিনে খাওয়ার প্রবণতা কমবে। কাজের ফাঁকে কয়েক টুকরো শসা খেয়ে নিলে শরীরে জলের ঘাটতি মিটবে। আবার এতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ থাকে। তাই পুষ্টিও পাবে শরীর ।