পেটের সমস্যা হলে কী রাখতে পারেন ডায়েটে? ছবি: শাটারস্টক।
বৃষ্টিভেজা দিনে বাইরের ভাজাভুজি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। তাই এই মরসুমে নানা রকম পেটের গোলমাল লেগেই থাকে। আর এক বার পেটের সমস্যা শুরু হলে শরীর থেকে অনেক জল বেরিয়ে যায়, শরীর কাহিল হয়ে পড়ে। তাই নুন-চিনির জল সারা দিন ধরে খাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু খাবার না খেলে শরীর যে আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। কড়া ওষুধও খালি পেটে সহ্য হবে না। কিন্তু মুশকিল হল পেটখারাপ হলে কোন ধরনের খাবার খেলে পেট আরও খারাপ হয়ে যাবে না, সেটাই অনেকে বুঝতে পারেন না। সাধারণত বিভিন্ন চিকিৎসক যা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, সেই অনুযায়ী পাঁচটি খাবারের একটি তালিকা বানিয়ে দেওয়া হল।
কলা: প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইট পটাশিয়াম থাকায় পেটের সমস্যা হলে কলা খাওয়া যেতেই পারে। কলা হজম করা সহজ ও কলা খেলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তিও আসে।
আদা চা: পেটখারাপের পাশাপাশি পেটে ব্যথা, বমি ভাব এবং গায়ে-হাত-পায়ে ব্যথা লেগেই থাকে। আদা এ সব থেকে রেহাই দিতে পারে। গরম জলে আদা কুচিয়ে ফুটিয়ে নিন। স্বাদ অনুযায়ী লেবু আর মধু দিয়ে ছেঁকে নিয়ে খান। শরীরের কোনও রকম প্রদাহ হলেও আদা দারুণ কাজ দেয়।
দই-ভাত: পেটখারাপের মধ্যে এর চেয়ে ভাল খাবার আর হয় না। পেট ঠান্ডা রাখে। এবং হজমের গোলমাল মেটানোর জন্য দইয়ের প্রোবায়োটিক গুণ বেশ উপকারী। সাধারণ ভাতের সঙ্গে দই মিশিয়ে খেলে অনেক সহজে হজমও হয়ে যায়।
তুলসী: এই পাতার অ্যান্টিমাইক্রাবায়াল গুণ আছে। পেটে কোনও রকম সংক্রমণ হলে এই পাতা খেতে পারেন। পেটের সমস্যা দূর হবে এই পাতার গুণে। তুলসী জলে ফুটিয়ে সামান্য মধু দিয়ে খেতে পারেন আবার একটি এলাচের সঙ্গেও কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন।
ওট্স: মশলা দিয়ে নোনতা ওট্স না খেয়ে এই সময় মিষ্টি ওট্স খেলে উপকার পাবেন। কলা দিয়ে মেখে খেতে পারেন। সামান্য দুধ আর জলে ফুটিয়ে নেবেন। যাঁদের দুধে সমস্যা তারা বাদাম থেকে তৈরি দুধ বা যে সোয়ার দুধ ব্যবহার করতে পারেন। বেরি জাতীয় ফল বা ড্রাই ফ্রুট দিয়ে খেলেও অসুবিধা হবে না।