কারা খাবেন না মুরগির মেটে? ছবি: শাটারস্টক।
পাঁঠার মেটে চচ্চড়ি খেতে অনেকেই ভালবাসেন। এর পুষ্টিগুণও কারও অজানা নয়। তবে জানেন কি, মুরগির মেটেও পুষ্টিগুণে ভরপুর? অনেকেই মুরগির মেটের স্বাদ একেবারেই পছন্দ করেন না। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, পাঁঠার মাংসের তুলনায় মুরগির মেটের পুষ্টিগুণ কোনও অংশে কম নয়।
ডায়েটে মুরগির মেটে থাকলে আর কী কী উপকার পেতে পারেন?
১) মুরগির মেটেতে থাকে সেলেনিয়াম। এই যৌগ ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এ ছাড়াও সেলেনিয়াম শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ছোটবড় সংক্রমণ, গাঁটের ব্যথা, কৃমির সমস্যাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২) মুরগির লিভারে রয়েছে জিঙ্ক, যা জ্বর, টনসিলাইটিস, সর্দি-কাশি সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, মুরগির লিভারে থাকা কোলাজেন ও ইলাস্টিন আমাদের শরীরের শিরা-উপশিরায় রক্তপ্রবাহের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
৩) শরীরে অ্যানিমিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে মুরগির লিভার খাওয়া যেতেই পারে। ভিটামিন বি১২ এবং আয়রন উচ্চ মাত্রায় থাকায় মুরগির মেটে রক্তাল্পতার সমস্যা মেটাতে পারে।
৪) মুরগির লিভারে থাকে ফোলেট নামক উপাদান, যা যৌনক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়।
৫) মুরগির মেটে প্রোটিনের ভাল উৎস। হাড় ও পেশির গঠন মজবুত করে। শরীরের বিভিন্ন অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করতে, দ্রুত ওজন বাড়াতে মুরগির লিভারের জুড়ি মেলা ভার।
তবে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের মুরগির মেটে না খাওয়াই ভাল। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খুব বেশি মুরগির মেটে খাবেন না। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ সন্তানের ক্ষতি করতে পারে।