ডেঙ্গি হলে কেমন খাবার খেতে হবে? ছবি: শাটারস্টক।
বর্ষার শুরুতেই রাজ্যে ফের ডেঙ্গির চোখরাঙানি। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, গত সাত দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৯ ছাড়িয়েছে। কলকাতাতেও আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পেরিয়েছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। স্বাস্থ্য দফতরের চিন্তা বাড়িয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হুগলির মতো জেলাগুলিও। তার মধ্যেই আবার বহু ডেঙ্গিরোগীর শুশ্রূষা চলছে বাড়িতে। এমন পরিস্থিতিতে প্রবল জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, বমি, ডায়েরিয়া— ডেঙ্গির এই লক্ষণগুলি দেখলেই সকলের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গি পরীক্ষা করানো উচিত। পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না গেলে বাড়িতেও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন ডেঙ্গি রোগী। তবে বাড়িতে থাকলে রোগীর খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। কেমন হওয়া উচিত ডেঙ্গি রোগীর ডায়েট?
চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেই শরীরে জলের ঘাটতি শুরু হয়। তাই শরীরে জলের পর্যাপ্ত জোগানের উপর জোর দিতে হবে। ডেঙ্গিতে মৃত্যু হওয়ার অন্যতম কারণই হল ‘ডিহাইড্রেশন’। তাই রোগীর খাবারে যেন কোনও ভাবেই জলের অভাব না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
প্রবল জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, বমি, ডায়েরিয়া— ডেঙ্গির এই লক্ষণগুলি দেখলেই সকলের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গি পরীক্ষা করানো উচিত। ছবি: সংগৃহীত।
১) ডেঙ্গি আক্রান্তদের শরীরে জলের ঘাটতি হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বরের ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে বারে-বারে জল ও জলীয় খাবার খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে রোগীর ডায়েটে শরবত, ফলের রস, পাতলা ঝোল, ডালের জল, স্যুপ, দইয়ের ঘোল, লিকার চা রাখতে হবে।
২) এই সময়ে রক্তে প্লাজমা ও অণুচক্রিকা কমে যায়। তাই ডায়েটে বেশি করে মরসুমি ফল, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল ও শাক-সব্জি বেশি করে রাখতে হবে বিশেষত রোগীর খাবারে।
৩) বদহজম যেন না হয়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। তাই রোগীকে ভুলেও বাইরের খাবার, তেলমশলাদার খাবার দেওয়া চলবে না। এ ছাড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি, প্যাকেটবন্দি খাবার এ সময় না খাওয়াই ভাল। বাড়িতে বানানো হালকা-পাতলা খাবারই এই সময়ে খাওয়াতে হবে রোগীকে।
৪) ফোলেটে সমৃদ্ধ বিভিন্ন খাবার, যেমন চিকেন বা পাঁঠার মাংসের মেটে, আয়রনে সমৃদ্ধ কিশমিশ, মাখানা, আখরোট, আমন্ডের মতো ড্রাইফ্রুট খেতে হবে নিয়মিত। এ সময়ে প্রোটিনও খেতে হবে ভাল মাত্রায়। ছোট মাছের ঝোল, মুরগির স্টু, ডিম সেদ্ধ রোজ খেতে হবে।