রোগা হতে চান না, অথচ দিনের পর দিন ওজন একটু একটু করে কমে যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমানো মুখের কথা নয়। ডায়েট, জিম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, অফিসে লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করা, বাইরের খাবার একেবারে স্পর্শ না করা— রোগা হওয়ার জন্য কম কসরত করেন না অনেকেই। অথচ ফলাফল যে সব সময়ে ইতিবাচক হয়, তা কিন্তু নয়। অনেক দিন ধরে রোগা হওয়ার চেষ্ট করেও শেষমেশ তা হতে পারেন না। এটা তো গেল মু্দ্রার একটা দিক। অন্য পিঠে কিন্তু আবার আর এক রকম সমস্যা। রোগা হতে চান না, অথচ দিনের পর দিন ওজন একটু একটু করে কমে যাচ্ছে। চেষ্টা করেও ওজন কমাতে ব্যর্থ হন যাঁরা, তাঁদের কাছে এটা রূপকথার মতো শোনাতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই এমন সমস্যা দেখা যায়। চেষ্টা করে ওজন কমানো আর কোনও কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়ার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত রয়েছে। প্রথমটি স্বাভাবিক, কিন্তু দ্বিতীয়টি অস্বাভাবিক। এমন হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কোন কারণগুলির জন্য হতে পারে এমন?
ডিমেনশিয়া
ওজন কমার সঙ্গে ডিমেনশিয়ার একটি সম্পর্ক রয়েছে। ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়া মানেই স্মৃতিশক্তি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে। দুর্বল স্মৃতিশক্তির প্রভাব পড়ে রোজের খাওয়াদাওয়ার উপরেও। সঠিক সময়ে ও পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার কথা সব সময়ে মনে থাকে না। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অনিয়ম চললে স্বাভাবিক ভাবে ওজন কমতে শুরু করবে। এ ছাড়াও ডিমেনশিয়ার ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। সেই ওষুধের প্রভাবে শরীরের ওজন ক্রমশ কমতে থাকে।
মানসিক চাপ
ব্যক্তিগত জীবনে জটিলতা কিংবা কর্মক্ষেত্রে প্রবল চাপের কারণে মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হচ্ছে ক্রমশ। এর ফলে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বাড়ছে শরীরে। এটি স্ট্রেস হরমোন নামেও পরিচিত। এই হরমোন বিপাকহারের উপর প্রভাব ফেলে। বিপাকক্রিয়া আবার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে বিপাকক্রিয়ার অস্বাভাবিকতায় ওজন বেড়ে যেতে পারে।
ডায়াবিটিস
রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে কমতে পারে ওজন। এই কারণে ডায়াবেটিকদের মধ্যে ওজন কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ডায়াবিটিস মানে রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে যাওয়া। ইনসুলিনের অভাবে শরীরে কোষগুলি নিজেদের সচল ও শক্তিশালী রাখতে পেশি ও চর্বির সাহায্য নেয়। এর ফলে শরীরের সামগ্রিক ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকে।