Diabetes

টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হন কারা? এমন রোগ কী কারণে হয়? কোন উপায়ে ঠেকানো যায়? 

চিকিৎসকদের মতে, টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঠিক কারণ স্পষ্ট ভাবে সব সময়ে জানা যায় না। তবে পারিবারিক ইতিহাসের সঙ্গে এর যোগাযোগ বেশ নিবিড়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২ ০৮:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

ডায়াবিটিস বিভিন্ন কারণে হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে কোনও ব্যক্তির রক্তে শর্করার মাত্রা কেমন থাকবে, তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির জীবনযাপনের উপর। এ কথা বলা হয় ঠিকই। কিন্তু কোন কারণে ডায়াবিটিস হয়, তা জানা আছে কি?

Advertisement

চিকিৎসকদের মতে, টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঠিক কারণ স্পষ্ট ভাবে সব সময়ে জানা যায় না। তবে পারিবারিক ইতিহাসের সঙ্গে এর যোগাযোগ বেশ নিবিড়। অর্থাৎ, কোনও ব্যক্তির পরিবারের কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তবে তাঁর ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এবং তা জানা সত্ত্বেও যদি ওই ব্যক্তি খাবারে অতিরিক্ত চিনি খেয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আরওই বাড়ে। তবে পারিবারিক ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও যদি কোনও ব্যক্তি একেবারে ভিন্ন, স্বাস্থ্যকর একটি জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হতে পারেন, তবে আক্রান্ত হওয়ার গতি একটু হলেও শ্লথ হয়।

তা হলে কি যাঁদের পরিবারে ডায়াবিটিস নেই, তাঁরা কখনও আক্রান্ত হবেন না এই রোগে? না কি যাঁরা চিনি খান না, তাঁরা দূরে রাখতে পারবেন ডায়াবিটিস? এক চিকিৎসকের মতে, যদি কোনও ব্যক্তি ভেবে থাকেন যে, খাবারে চিনি কম খেলে বা একেবারেই না খেলে কোনও দিন ডায়াবিটিস হবে না, সে ধারণা একেবারেই ভুল। কারণ খাবারে চিনি না খেলেও এমন কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে দিয়েও কিন্তু শরীরে চিনি যায়। ডায়াবিটিসপ্রবণ, অথচ এখনও তেমন কোনও লক্ষণ প্রকাশ পায়নি, এমন মানুষের অতিরিক্ত সচেতন হওয়া জরুরি। কারও ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত রক্তে শর্করার মাত্রা খুব লক্ষণীয় ভাবে হয়তো বাড়ে না। কিন্তু হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যেতেই পারে। আর যাঁদের বাড়িতে কারও ডায়াবিটিস নেই, তাঁদেরও জীবনধারায় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

Advertisement

তবে কী করে কমানো যায় রোগের আশঙ্কা?

ছোট থেকেই চিনির বদলে প্রাকৃতিক চিনির উপর ভরসা করা যায়। কারণ ফল, সব্জি বা দুধে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরে মধ্যে গিয়ে বিপাকের ফলে তা শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। কিন্তু চিনি বা কৃত্রিম মিষ্টিজাত খাবারগুলি খুব সহজে ভাঙতে চায় না। তাই শরীরে নানা রকম সমস্যা তৈরি হয়। নিয়ম করে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া আর শরীরচর্চা যেমন জরুরি, তেমনই খেয়াল রাখতে হবে ঘুম ও জল খাওয়ার অভ্যাসের দিকেও। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement