‘ডাম্ব’ ফোনে ফিরে যেতে চাইছে নতুন প্রজন্ম? ছবি- সংগৃহীত
একুশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে গোটা পৃথিবীটাই এখন হাতের মুঠোয় বন্দি। ৮ থেকে ৮০, সকলেই এখন স্মার্টফোনের উপর নির্ভরশীল। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির মধ্যে অন্যতম হলেও বিজ্ঞনীরা বলছেন, অতিরিক্ত স্মার্টফোনের ব্যবহারের ফলে মানুষ আসলেই ‘আনস্মার্ট’ হয়ে পড়ছে। যুবসমাজের উপর এই স্মার্টফোনের খুবই খারাপ প্রভাব পড়ছে। কারও ক্ষেত্রে তা রীতিমতো নেশার বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনেকেই হয়তো চেষ্টা করেন এই নেশা থেকে বেরোতে। কিন্তু স্মার্টফোনে আসা নিত্য নতুন খাবার (পড়ুন ফিড) তার দিক থেকে চোখ অন্য দিকে সরতে দেয় না।
স্মার্টফোনের নানা অপকারিতা থাকলেও এ কথা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে দেশ-বিদেশের খবরের প্রধান উৎস এখন অন্তর্জাল। সব সময়ে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নিয়ে সর্বত্র ঘোরা সম্ভব নয়, তাই ফোন ছাড়া গতি নেই। বিনোদন, খবরের ভাণ্ডার, অনলাইন কেনাকাটা করার জন্য নানা রকমের অ্যাপ, অজানা-অচেনা জায়গার জন্য মানচিত্র কী নেই সেখানে? কিন্তু এত ধরনের স্মার্ট সব বৈশিষ্ট্য ছেড়ে কেন হঠাৎ বোকা ‘ডাম্ব’ ফোনে ফিরে যেতে চাইছে নতুন প্রজন্ম? কী কী বৈশিষ্ট্য আছে এই ফোনগুলিতে?
একেবারে সাধারণ স্মার্টফোন কিনতে খুব কম হলেও ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগে। উন্নত মানের ফোন কিনতে গেলে অন্তত পক্ষে ২০ হাজার টাকা খরচ করতেই হবে। উল্টো দিকে এই ডাম্বফোনগুলি ৫০০০ হাজার টাকাতেও পাওয়া যায়। দোকানে গেলেই ডাম্বফোন কিনতে পারবেন। কিন্তু বিভিন্ন দামের এবং বিভিন্ন মানের অনেক বেশি ফোন দেখতে পাবেন অনলাইনে।
স্মার্টফোনে ইন্টারনেট না থাকলে তার সঙ্গে সাধারণ ফোনের কোনও তফাত থাকে না। তাই খরচ বেশি হলেও ইন্টারনেট পরিষেবা রাখতেই হয়। অথচ ডাম্বফোনে যেমন রিচার্জের খরচ কম, তেমনই খুব সাধারণ এবং প্রয়োজনীয় কিছু পরিষেবা থাকে বলে, ডেটার জন্য খরচও খুব একটা বেশি হয় না।
ডাম্বফোনগুলি ৫০০০ হাজার টাকাতেও পাওয়া যায়। ছবি- সংগৃহীত
বেশির ভাগ স্মার্টফোন হাত থেকে পড়ে গেলে উপরের কাচের ডিসপ্লেটি ভেঙে যায়। কিন্তু ডাম্বফোনের ক্ষেত্রে তেমন আশঙ্কা নেই।
নতুন ধরনের স্মার্টফোনগুলি থেকে যখন ইচ্ছা ব্যাটারি বা সিম কার্ড খুলে ফেলা যায় না। সিমকার্ড বার করতে গেলে সঙ্গে সরু মুখের পিন রাখতে হয়। কিন্তু ফিচার ফোনের ক্ষেত্রে তা হয় না।
স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকা মানেই ক্রমাগত নোটিফিকেশন আসা। মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ থেকে আসতে থাকে এই ধরণের বার্তা। অথচ ফিচার ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও সারাদিন ধরে এমন কোনও বার্তা আসে না।
স্মার্টফোনের তুলনায় ফিচার ফোনের ব্যাটারি লাইফ ভাল। এক বার চার্জ দিলেই চলবে টানা এক সপ্তাহ।