ছবি: প্রতীকী
সাদাকালো এই জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার শহরে প্রতি দিন সকলের জীবন রঙিন না-ও হয়ে উঠতে পারে। ঘরে-বাইরে কাজের চাপ, দায়-দায়িত্ব, উদ্বেগ, সম্পর্কের সমীকরণ বা ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার উপর জীবনের ভাল-মন্দ নির্ভর করে। আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ, স্বাভাবিক জীবনেও যে কত ধরনের জটিলতা থাকে, তার আঁচও পান না পাশে থাকা মানুষটি। মনোবিদেরা বলছেন, জীবন থাকলে সমস্যা থাকবে। তাকে এড়িয়ে বাঁচা যায় না। কিন্তু সমস্যার মোকাবিলা করে জীবনতরী কে, কোন খাতে বইয়ে নিয়ে যাবেন, তা নির্ভর করবে সেই ব্যক্তির উপর। তবে চাইলেই সেই দক্ষতা এক দিনে রপ্ত করা যায় না। ভাল থাকতে গেলে কিছু জিনিস নিয়মিত অভ্যাস করা জরুরি।
১) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
নিজের ইতিবাচক মনোভাব, সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। পরিবার, পরিজন বা চেনা মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। এক দিনে এই অভ্যাস রপ্ত করা যাবে না। প্রতি দিন একটু একটু করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার অভ্যাস করতে হবে।
২) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো
সারা দিনের ক্লান্তি শেষে কাছের মানুষ বা প্রিয়জনের সময় কাটালে মন ভাল থাকে। নিজের কথা ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি উল্টো দিকের মানুষগুলির কথা ধৈর্য ধরে শোনাও কিন্তু এক প্রকার অভ্যাস।
৩) ডিজিটাল ডিটক্স
একটা সময় পর সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার সব মাধ্যম থেকে ছিন্ন হয়ে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টেলিভিশন, এমনকি খুব প্রয়োজন না হলে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সাময়িক ভাবে যোগাযোগ বন্ধ রাখুন। বদলে নিজের শখের চর্চা করুন। বই পড়তে পারেন, ধ্যান করতে পারেন, শান্ত-ধীর ছন্দের গানও শুনতে পারেন।
৪) আত্মমূল্যায়ন
সারা দিন কী কী ভুল করেছেন, তা ভেবে দেখার পরামর্শ দেন মনোবিদেরা। কারণ, সেখান থেকে শিক্ষা নিলে তবেই ভুল শুধরে ফেলা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনে উন্নতির জন্য নিজের সাফল্যের স্মৃতি রোমন্থন করাও জরুরি।
৫) নতুন কিছু শেখা
প্রতি দিন ছোট হলেও নতুন কিছু শেখা জরুরি। পুঁথিগত শিক্ষা একটা সময়ে শেষ হয়ে গেলেও জীবনপাঠ কখনও শেষ হয়ে যায় না। তাই পরিবেশ, পরিস্থিতি, নানা রকম কাজের মধ্যে দিয়েই শিক্ষার ভাঁড়ার পূর্ণ হতে থাকে।