মাত্রাতিরিক্ত ক্যালশিয়ামের কারণে কী ক্ষতি হয় শরীরের? ছবি: শাটারস্টক।
রোজের ডায়েটে নির্দিষ্ট মাত্রায় ক্যালশিয়াম রাখা ভীষণ জরুরি। যাঁরা দুধ কিংবা দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারেন না, তাঁদের শরীরে অনেক ক্ষেত্রেই ক্যালশিয়ামে অভাব ধরা পড়ে। মহিলাদের শরীরেও চল্লিশের পর ক্যালশিয়ামের ঘাটতি চোখে পড়ে। এই সমস্যা দেখা যায় ঘরে ঘরে। তখন অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই মুঠো মুঠো ক্যালশিয়াম খেতে শুরু করেন অনেকে। চিকিৎসকদের মতে, এর পরিণতি কিন্তু উদ্বেগজনক হতে পারে। পেটব্যথা, বমিভাব, অবসাদ, এমনকি, এই অভ্যাসের ফলে হার্টের অসুখের ঝুঁকিও বাড়ে।
মাত্রাতিরিক্ত ক্যালশিয়াম শরীরে প্রবেশ করলে কিন্তু তা থেকে হতে পারে ক্যালশিয়াম ডিপোজ়িট। জেনে নিন, শরীরে ক্যালশিয়াম জমতে শুরু করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে।
১) শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা, হাড়ের ঘনত্ব ইত্যাদি দেখেই ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ইচ্ছামতো সাপ্লিমেন্ট খেলে কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বাড়ে। মাত্রা অনেক বেশি হয়ে গেলে কিডনি বিকল হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে।
২) রক্তে মিশে থাকা ক্যালশিয়াম স্নায়ুতে সঙ্কেত পাঠানো, হরমোনের ক্ষরণ ও মাংসপেশির সঙ্কোচন-প্রসারণে সাহায্য করে। হাড় এবং দাঁত সুস্থ রাখতেও প্রয়োজন ক্যালশিয়াম। কিন্তু অধিক মাত্রায় ক্যালশিয়াম পেশির সঙ্কোচনে বাধা দেয়, ফলে শরীরের নানা জায়গায় ব্যথা হয়।
৩) মুঠো মুঠো ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্ট খান এমন মহিলা ও পুরুষদের মানসিক অবসাদ এবং উদ্বেগের প্রবণতা অনেক বেশি। প্রয়োজনে ক্যালশিয়ামের সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে তবে নিয়ম মেনে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
৪) অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্ট হাইপার ক্যালশিমিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যান্য ট্যাবলেট এবং সাপ্লিমেন্টের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্টের সঙ্গে কেউ যদি নিয়মিত হার্টের অসুখের ট্যাবলেট বা আয়রন ট্যাবলেট খেতে শুরু করেন, তা হলে হৃদ্রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। এ ক্ষেত্রে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
৫) মাত্রাতিরিক্ত ক্যালশিয়াম শরীরে জমা হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে। তাই যাঁদের এই সমস্যা আছে, তাঁদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।