হাঁপানির রোগীরা কী কী ব্যায়াম অভ্যাস করলে উপকার পাবেন। ছবি: ফ্রিপিক।
হাঁপানিতে বড় কষ্ট। যাঁদের আছে, তাঁরাই বোঝেন। সঙ্গে কাশি, বুকে ব্যথা আর বিনিদ্র রাত্রিযাপন। কলকাতায় বাড়তে থাকা দূষণে অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। হাঁপানিতে আক্রান্ত মানুষের কষ্ট বাড়ছে আরও বেশি। অনেকেই ভাবেন হাঁপানি থাকলে কোনও ব্যায়াম করা যাবে না। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, শারীরিক কসরত করলে হাঁপানির টান কম হবে। তবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে যা হাঁপানির রোগীদের জন্য ভাল।
১) প্রত্যেক দিন অল্প সময় বার করে ব্রিদিং এক্সারসাইজ় করা জরুরি। এই ধরনের ব্যায়াম নিয়মিত অভ্যেস করলে ফুসফুসে বাতাস ঢোকা এবং বার করার পরিমাণ বাড়ে। ফলে ফুসফুসের শক্তিও বাড়ে।
২) ম্যাটে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। একে বলা হয় ভুজঙ্গাসান। নিয়মিত করলে উপকার পাবেন।
৩)হাঁপানির রোগীদের জন্য প্রাণায়াম খুব উপকারী। কপালভাতি রোজ অভ্যাস করতে পারেন। আরামদায়ক কোনও একটি আসনের ভঙ্গিতে বসুন, তা পদ্মাসন, বজ্রাসন বা সুখাসনও হতে পারে। মাথা ও মেরুদণ্ড সোজা রাখুন। চোখ বন্ধ করে আরামদায়ক অবস্থায় রাখুন গোটা শরীর। স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শ্বাস নিন। শ্বাস ছাড়ার সময় পেটের পেশীর উপর চাপ দিতে হবে। দ্রুত শ্বাস নিতে ও ছাড়তে হয়। সবে সবে শুরু করলে প্রতি দশ বারে একটি সেট করুন। পাঁচটি সেটে সম্পূর্ণ হয় এই প্রাণায়ামের অভ্যাস।
৪) শ্বাসের সমস্যা কমাতে পারে অনুলোম-বিলোম। প্রথমে ডান দিকের নাকের ছিদ্র চেপে ধরে, বাঁ দিক দিয়ে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার কাজ করতে হবে। পরে বাঁ দিকের নাকের ছিদ্র চেপে ধরে, ডান দিক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ ও বর্জনের অভ্যাস করতে হবে। এই প্রাণায়ামে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে হবে তিন ধাপে।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। সকলের শরীর সমান নয়। অনেক বিধিনিষেধও থাকে। তাই হাঁপানি থাকলে কী ধরনের শরীরচর্চা আপনার জন্য উপযুক্ত হবে তা ফিটনেস প্রশিক্ষকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।