শীতকালে খাওয়াদাওয়ার অনিয়মের কারণে অনেক সময় বদহজম, গ্যাস-অম্বল লেগেই থাকে। প্রতীকী ছবি।
হাড়কাঁপানো ঠান্ডা এখনও তেমন পড়েনি। তবে শীতের আমেজ রয়েছে। সকালের ঠান্ডা শিরশিরানি হাওয়ায় কাঁটা দিচ্ছে শরীরে। এই সময় নানারকম মরসুমি সংক্রমণ দেখা যায়। সুস্থ থাকা প্রয়োজন। একেই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে, তার উপর শীতকালীন নানা সমস্যা তো রয়েছেই। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তাই ভরসা রাখতে পারেন হলুদ মেশানো দুধে। পুষ্টিবিদদেরও একই মত। কিন্তু এত কিছু ছেড়ে হঠাৎ এই পানীয়টি কেন এত উপকারী?
হলুদে থাকা কারকিউমিন সবচেয়ে বেশি উপকারী। হলুদের এত নামডাক এই উপাদানটির জন্যেই। হলুদে কারকিউমিনের পরিমাণ মাত্র ৩ শতাংশ। তার উপর জল দিয়ে খেলে, তার বেশির ভাগটাই শোষিত হয় না। কারকিউমিন ফ্যাটে দ্রবীভূত হয়। কাজেই ফ্যাট জাতীয় খাবারের সঙ্গে খেলে কারকিউমিন পাওয়া যায় পুরোপুরি। আর দুধে ফ্যাটের পরিমাণ কম নয়। হলুদের কারকিউমিন শরীরে প্রদাহের প্রবণতা কমায়। যার হাত ধরে ক্রনিক অসুখ-বিসুখের প্রকোপ কমে। হৃদ্রোগ, ডায়াবিটিসের মতো সমস্যাও দূরে থাকে।
সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তাই ভরসা রাখতে পারেন হলুদ মেশানো দুধে। ছবি: সংগৃহীত
হলুদ-দুধের আর কী কী উপকার রয়েছে?
১) শরীরে নানা প্রদাহ কমাতে দারুণ কার্যকরী এই হলুদ-দুধ। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, নিয়মিত কারকিউমিন-সমৃদ্ধ হলুদ খেলে প্রদাহজনিত সমস্যা অনেকটাই দূরে থাকে। এ ছাড়াও যাঁরা আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য হলুদ মিশ্রিত দুধ খুব উপকারী। হাঁটুর ব্যথা অনেক কম থাকে।
২) নিয়মিত হলুদ-দুধ খেলে কারকিউমিনের প্রভাবে শরীরে ‘বিডিএনএফ’ নামে এক রাসায়নিকের পরিমাণ বাড়ে বলে অ্যালজাইমার্সের সম্ভাবনা কমে। মস্তিষ্কের প্রখরতা বাড়ে।
৩) হলুদ খেলে মন ভাল থাকে। অবসাদে ভুগলে রোজের খাদ্যতালিকায় চোখ বন্ধ করে রাখতে পারেন হলুদ-দুধ। হলুদ এবং দুধে থাকা স্বাস্থ্যকর কিছু উপাদান উদ্বেগ কমাতেও সাহায্য করে অনেকটা।
৪) দুধে আছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-র মতো স্বাস্থ্যকর কিছু উপাদান। নিয়মিত দুধ খেলে হাড় এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব হয়। ভাল থাকে পেশিও। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এর বিরাট ভূমিকা হলুদ-দুধের।
৫) শীতকালে খাওয়াদাওয়ার অনিয়মের কারণে অনেক সময় বদহজম, গ্যাস-অম্বল লেগেই থাকে। গ্যাসের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে ওষুধের মতো কাজ করবে এই পানীয়।