শীত এলেই বাড়িতে কুলের আচার বানান অনেকেই। ছবি: সংগৃহীত
শীতকাল এলেই মনটা যেন সবুজ টোপা কুলের জন্য নেচে ওঠে। গোল, টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফল আট থেকে আশি অনেকেরই প্রিয়। শৈশবে মায়ের চোখ এড়িয়ে কুল পাড়তে যাওয়ার অভিজ্ঞতা কমবেশি অনেকরেই রয়েছে। শীতের সঙ্গে কুলের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। কারণ শীতকালীন কিছু ফল সারা বছর পাওয়া গেলেও কুলের দেখা মেলে এই শীত এলেই। সরস্বতী পুজো না হলে কুল খাওয়া যাবে না—অনেকেই এমন ধারণা পোষণ করেন। তা মেনেও চলেন। আবার কুলের প্রতি যাঁদের টান অসম্ভব, সরস্বতী পুজো পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকতে পারেন না। তার আগেই খেয়ে নেন। আবার শীত এলেই বাড়িতে কুলের আচার বানান অনেকেই। শীত এলেই বাড়িতে কুলের আচার বানান অনেকেই।
শীত এলেই বাড়িতে কুলের আচার বানান অনেকেই। ছবি: সংগৃহীত
শরীর ভাল রাখতে কী ভাবে সাহায্য করে কুল?
১। কুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। জিভ বা মুখের ঘা কমাতে ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ সর্দি কাশি কমাতেও কাজে আসে ভিটামিন সি।
২। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কুল বেশ উপকারী ফল। ডায়েরিয়া, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, রক্তাল্পতা ইত্যাদি রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে এই ফল।
৩। কুলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি যকৃতের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও কাজে আসতে পারে কুল।
৪। কুল চামড়াকে সতেজ রাখে। ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে কোমল করে। ফলে বয়সের ছাপ পড়ে না। কুল কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং হজমের সমস্যার সমাধান করে। খাবারে রুচি বাড়িয়ে তোলে ।