আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ফাইবারের মতো উপকারী স্বাস্থ্যগুণে ঠাসা। যা ভিতর থেকে খেয়াল রাখে শরীরের। প্রতীকী ছবি।
শরীর ভাল রাখতে নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার বিকল্প নেই। সুস্থ থাকতে অনেকেই এই নিয়ম মেনে চলেন। ড্রাই ফ্রুটসের তালিকায় যেগুলি রয়েছে স্বাস্থ্যগুণের ভিত্তিতে কিশমিশ বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কিশমিশ কাজে আসতে পারে। আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ফাইবারের মতো উপকারী স্বাস্থ্যগুণে ঠাসা। যা ভিতর থেকে খেয়াল রাখে শরীরের।
কিশমিশের গুণাগুণ সম্পর্কে অনেকেই অবগত। তবে যেটা অনেকেই জানেন না, তা হল কিশমিশ শুকনো খাওয়ার চেয়ে ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পেতে পারেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ভেজানো কিশমিশ অ্যানিমিয়া থেকে ওজন কমানো— সবেতেই সিদ্ধহস্ত। শুকনো খাওয়ার চেয়ে ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার কী কী উপকারিতা রয়েছে?
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে
সারা বছর ধরে অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। তবে শীত পড়লেই বাড়বাড়ন্ত হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের। শীতের মরসুমে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে জল খাওয়ার পরিমাণও অনেক কমে যায়। ফলে সমস্যা বাড়ে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন ভেজানো কিশমিশ। এতে থাকে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের মতো উপাদান। হজমের সমস্যার চটজলদি সমাধান করে এগুলি।
কিশমিশ শুকনো খাওয়ার চেয়ে ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পেতে পারেন। প্রতীকী ছবি।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
মেদ ঝরাতে অনেকেই প্রচুর পরিশ্রম করে থাকেন। জিম, ডায়েট, খাওদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলা, আরও কত কী। এই প্রয়াসে কাজে আসতে পারে ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস। রোজ সকালে নিয়ম করে খেতে হবে।
রক্তাল্পতার সমস্যায়
ভেজানো কিশমিশ রক্তাল্পতার আশঙ্কা কমাতে পারে। শরীরের রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখতে কিশমিশ খুবই উপকারী। ফলে রক্তাল্পতা সমস্যায় ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের রোজের ডায়েটে থাকতেই পারে ভেজানো কিশমিশ। তবে সে ক্ষেত্রে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে এক বার পরামর্শ করে নিতে পারেন।
কিডনি ভাল রাখতে
কিডনির রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সুস্থ থাকতে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি তাই রোজের পাতে রাখতে পারেন ভেজানো কিশমিশ। এ ভাবে কিশমিশ খেলে কিডনি সংক্রান্ত অনেক সমস্যার চটজলদি সমাধান হয়।
ত্বকের যত্নে
অল্প হলেও বাতাসে শীতের আমেজ। এই আবহাওয়ায় ত্বকে টান ধরতে শুরু করেছে। ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে পড়ছে। ত্বক কোমল ও মসৃণ রাখতে অনেকেই এই সময় বাজারচলতি নানা প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করে থাকেন। তাতে সাময়িক কাজ হয় বটে। তবে ভিতর থেকে ত্বকের যত্ন নিতে ভরসা রাখতে পারেন ভেজানো কিশমিশের উপর। কিশমিশ ভেজানো জল ত্বকের পরিচর্যায় কাজে লাগাতে পারেন। উপকার পাবেন।