এয়ার ফ্রায়ারের যেমন ভাল দিক আছে, তেমনই কিছু খারাপ দিকও আছে। ছবি: ফ্রিপিক।
অল্প তেলে রান্নার জন্য ননস্টিক বাসন ব্যবহারের চল শুরু হয়েছিল। এখন সে জায়গায় ‘এয়ার ফ্রায়ার’ বাঙালিদের হেঁশেলে দিব্যি জায়গা করে নিয়েছে। এতে রান্না করলে তেলের প্রয়োজন পড়ে না বললেই চলে। অথচ আলুভাজা কম তেলেই বেশ মুচমুচে হয়। কেবল রান্নার আগে একটু তেল মাখিয়ে নিলেই হল। সুস্বাদু ও মুখোরচক ভাজাভুজি, চপ-কাটলেট বানানোর জন্য এখন অনেকেই ‘এয়ার ফ্রায়ার’ ব্যবহার করছেন। এই যন্ত্র যেমন একদিকে উপকারী, তেমনই এর কিছু খারাপ গুণও আছে। কী কী সেগুলি জেনে নিয়ে সতর্ক থাকুন।
১) উচ্চতাপে এয়ার ফ্রায়ারে ‘অ্যাক্রিলামাইড’, ‘পলিসাইক্লিক অ্যারোমাটিক হাইড্রকার্বন’-সহ বেশ কিছু রাসায়নিক উপাদান তৈরি হয় যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। খাবারের অ্যামাইনো অ্যাসিড ও চিনি উচ্চতাপে বিক্রিয়া করে অ্যাক্রিলামাইড তৈরি করে যা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
২) উচ্চতাপে খাবারের মধ্যে এমন কিছু বদল আসে যা পুষ্টির মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। সেই খাবার খেলে তখন শরীরের ক্লান্তি ভাব অনেক বেড়ে যেতে পারে।
৩) এয়ার ফ্রায়ারে মুচমুচে করে ভাজা খাবারে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। যতই কম তেলে রান্না হোক, সেই খাবার খেলে তা থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান কমই পাবেন।
৪)একবারে অনেকটা রান্না করা যায় না। তাই বারে বারে রান্নার ঝক্কি থাকে যা যথেষ্টই সময়সাপেক্ষ।
৫) এয়ার ফ্রায়ারে মাছ ভাজলে নাকি তাতে ‘কোলেস্টেরল অক্সিডেশন’ বেড়ে যায়। এমন কিছু উপাদান তৈরি হয় যা হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাড়াতে পারে।