কতটা ভিটামিন বি১২ খেতে হবে দৈনিক ছবি: সংগৃহীত
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের প্রায় ৪৭ শতাংশ মানুষ এই ভিটামিনের অভাবে ভুগছেন। বিশেষত, যাঁরা নিরামিষ খাবার খান, তাঁদের মধ্যে এই ঘাটতি বেশি দেখা যায়। অথচ, ভিটামিন বি১২ দেহের প্রয়োজনীয় অপরিহার্য উপাদানগুলির মধ্যে অন্যতম। তাই অনেকেই এখন সাপ্লিমেন্ট হিসাবে এই ভিটামিন গ্রহণ করেন। কিন্তু ভিটামিন গ্রহণেরও একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। সেই মাত্রার বেশি ভিটামিন খেয়ে নিলে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়।
কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিটামিন বি১২ থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়া বিরল হলেও একেবারে অস্বাভাবিক নয়। অতিরিক্ত খেলে দেখা দিতে পারে মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা, ডায়েরিয়ার মতো একাধিক সমস্যা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাতে পায়ে চুলকানি, ক্লান্তি ও বমি বমি ভাবও দেখা দিতে পারে। এই সব উপসর্গ বাদেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে তীব্র অ্যালার্জি। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে অ্যানাফাইল্যাক্সিস। এই রোগে মুখ, জিভ ও গলা ফুলে যেতে পারে।
প্রতীকী ছবি
কতটা ভিটামিন বি১২ দরকার?
বয়সের উপর ভিত্তি করে এই ভিটামিনের চাহিদা কারও কম, কারও বা বেশি হয়। আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’-এর হিসাব অনুযায়ী এই পরিমাণ এই রকম—
১। ০ থেকে ৬ মাস: দৈনিক ০.৪ মিলিগ্রাম
২। ৭ থেকে ১২ মাস: ০.৫ মিলিগ্রাম
৩। ১ থেকে ৩ বছর: ০.৯ মিলিগ্রাম
৪। ৪ থেকে ৮ বছর: ১.২ মিলিগ্রাম
৫। ৯ থেকে ১৩ বছর: ১.৮ মিলিগ্রাম
৬। ১৪ থেকে ৫০ বছর: ২.৪ মিলিগ্রাম
৭। অন্তঃসত্ত্বা নারী: ২.৬ মিলিগ্রাম
৮। স্তন্যদায়িনী মা: ২.৮ মিলিগ্রাম
তবে মনে রাখতে হবে, সব খাবার বা পথ্য সকলের সহ্য না-ও হতে পারে। তাই এই ধরনের কোনও সাপ্লিমেন্ট যদি নিতেই হয়, তবে তার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।