কফ, বাত, পিত্ত— এসবের চিকিত্সায় কাজে লাগে আমলকি
আমলকি বেশি পাওয়া যায় শীতকালেই। এটি হল একটি সবুজ রঙের স্বচ্ছ ফল। যে সংস্কৃত শব্দ থেকে এর নামকরণ হয়েছে, তার অর্থ হল ‘জীবনের অমৃত’। এটি অগণিত রোগের চিকিত্সার জন্য ভারতে বিখ্যাত। প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্র মতে, কফ, বাত, পিত্ত— এই তিন প্রধান রোগের চিকিত্সায় বিশেষ কাজে লাগে আমলকি। এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও বটে। এখন অনেক চিকিত্সক আমলকি রোজের খাবারে অন্তর্ভুক্ত করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ—
১। এটি আপনার ত্বক এবং চুলের জন্য ভাল। আমলকি রক্ত বিশুদ্ধ করে এবং ত্বকে পুষ্টি জোগায়। এ ছাড়াও এতে জরা-রোধক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে।
২। ওজন কমাতে সাহায্য করে আমলকি। শীতকালে, আমরা নানা স্বাদের খাবার খাই, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায় দ্রুত। শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ বার করে দিতে আমলকি হতে পারে অন্যতম প্রধান অবলম্বন।
আমলকির ক্ষারীয় প্রকৃতি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার এবং শক্তিশালী করে
৩। দৃষ্টিশক্তি এবং হজমশক্তিও উন্নত করে আমলকি। শীতকালে আমাদের হজম প্রক্রিয়া প্রায়ই ব্যাহত হয়। আমলকি আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে।
৪। এতে পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। এই দুই উপাদান প্রদাহবিরোধী প্রভাব কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে যা ক্ষতিকর রোগ এবং সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
৫। আমলকি মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ক্রোমিয়াম সমৃদ্ধ, যা আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বজায় রাখে।
৬। আমলকির ক্ষারীয় প্রকৃতি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার এবং শক্তিশালী করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। হাইপার অ্যাসিডিটি নিরাময় করতে এবং পেটের আলসার প্রতিরোধ করতেও আমলকি ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭। এতে রয়েছে ক্যারোটিন, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতির জন্য দায়ী। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আমলকি থাকলে তা চোখের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নতি করতে পারে। এ ছাড়াও ছানি, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হঠাৎ উত্তেজনার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। চোখ লাল হওয়া, চুলকানি এবং জল পড়া রোধেও আমলকি বিশেষ উপকারি।