প্রতীকী ছবি
শীতকালের শুরু থেকেই সোয়েটার, জ্যাকেট, টুপি, মাফলার, মোজা ইত্যাদি বাহারি শীতের পোশাক পরা শুরু হয়ে যায়। শরীরকে হিমেল হাওয়ার কঠিন স্পর্শ থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন শীতবস্ত্র আমাদের কাজে আসে এই সময়। অথচ কোনও কোনও শীতের পোশাক কিছুটা অস্বস্তির সম্মুখীনও করে তুলতে পারে। যেমন শীতকালে পায়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং পা ফাটা আটকাতে আমরা মোজা প্রায় সকলেই পরি। অবশ্য মোজা অনেকেই এখন সারা বছর পরেন। কিন্তু তারই মধ্যে অনেকের পায়ে মোজা পরার জন্য প্রবল দুর্গন্ধ তৈরি হয়। অফিস-কাছারিতে, আড্ডায় কিংবা অনুষ্ঠানে মোজা থেকে তৈরি হওয়া দুর্গন্ধের ফলে লজ্জায় পড়তে হয় এমন ঘটনাও ঘটে আকছার।
পায়ে মোজা পরার জন্য প্রবল দুর্গন্ধ তৈরি হয়
ডাক্তারি শাস্ত্রে ব্রোমোডোসিস নামের এই ব্যারামটি পায়ে থাকা ঘামের সঙ্গে মোজার ব্যাকটিরিয়াকে মিশিয়ে ফেলে। ফলে পায়ের দুর্গন্ধ বেড়ে যায় দ্রুত। তবে এর থেকে মুক্তির উপায়ও রয়েছে হাতের কাছেই।
১। মোজা দীর্ঘ সময় ধরে পরে থাকবেন না। পায়ে দুর্গন্ধ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে কয়েক ঘণ্টা পর পরই মোজা বদলে ফেলুন কিংবা মোজা খুলে পায়ের ঘাম শুকিয়ে নিয়ে একটু স্বস্তি পেতে পারেন।
২। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। অন্যান্য উপাদানে তৈরি মোজা পায়ে দিয়ে দিনের পর দিন বাইরে বার হলে পায়ের চামড়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৩। গ্রীষ্মকালে মোজা পরার অভ্যাস থাকলে পা-ঢাকা জুতো পরবেন না কোনও মতেই। এতে দুর্গন্ধের সমস্যাও কমবে না সহজে।
৪। সপ্তাহে এক-দু বার পায়ে স্ক্রাব এবং ময়শ্চারাইজার দিয়ে পায়ের যত্ন নিন। পায়ের স্বাস্থ্য ভিতর থেকে ঠিক না থাকলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে ।
৫। পায়ে অস্বস্তি হয় এমন জুতো বা মোজা শুধু হালফ্যাশনে গা ভাসাতে পরবেন না। তাতে চলাফেরা করতে অস্বস্তি তো হবেই, পায়ের দুর্গন্ধ আশেপাশে অন্যদের বিরক্তিরও কারণ হতে পারে।