চুল পড়ার সমস্যা মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। ছবি: সংগৃহীত
মাত্রাতিরিক্ত দূষণ, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, মানসিক চাপের কারণে বর্তমানে চুল পড়ার সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। শুধু পুরুষ নয়, মহিলাদের মধ্যেও চুল পড়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। চুল পড়ার সমস্যা মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে।
পুরুষদের মধ্যে টাক পড়ার প্রবণতা সাধারণত দেখা যায় তাঁদের বয়স পঞ্চাশ পেরোনোর পর। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে সাধারণত ঋতুবন্ধের পর থেকে এই সমস্যার শুরু হয়। তবে মহিলাদের মধ্যে সম্পূর্ণ টাক পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায় না। চুল পাতলা হয়ে গিয়ে মাথার ত্বক প্রকাশ্যে চলে আসতে পারে। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে পুরোপুরি টাক পড়ে যেতে পারে।
ছবি: সংগৃহীত
অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপসিয়া-তে চুল পড়ার লক্ষণগুলি খুব স্পষ্ট নয়। চুলের ঘনত্ব কমতে থাকে। মূলত এন্ড্রোজেন হরমোনের কারণে এমনটা ঘটতে থাকে।
চুল পড়ার সমস্যা সাধারণত দুই ধরনের হয়।
১) সিক্যাট্রিসিয়াল অ্যালোপেসিয়া
চুল পড়ার সমস্যা ক্রমশ দীর্ঘস্থায়ী হয়। এটি মূলত লাইকেন প্ল্যানোপিলারিস, ট্রমা এবং জিনগত কারণে এমন হতে পারে।
২) নন- সিক্যাট্রিসিয়াল অ্যালোপোসিয়া
চুল পড়তে পড়তে ক্রমশ চুল পাতলা হতে থাকে। মাথার ত্বকে কোনও দাগ ছাড়াই এমন হয়।
এই দুটির কোনও একটি সমস্যায় আপনি ভুগছেন কিনা, তা জানার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা যেমন ট্রাইকোগ্রামা, ট্রাইকোস্কোপি, হরমোনাল লেভেল, স্কাল্প বায়োপসি ইত্যাদি করিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
মহিলাদের চুল পড়ার ধরন
অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া
ধীরে ধীরে চুলের ঘনত্ব কমে যাওয়া।
টেলোজেন এফ্লুভিয়াম
মানসিক চাপ, সন্তান জন্ম দেওয়ার পর, ভাইরাস সংক্রমণের কারণে চুল পড়া।
অ্যানাজেন এফ্লুভিয়াম
কেমোথেরাপির কারণে এটি ঘটতে পারে।
ট্র্যাকশন অ্যালোপেসিয়া
পনিটেল বা টেনে চুল বাঁধার কারণে অনেক সময় চুলের ফলিকল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চুল পড়তে থাকে।
এ ছাড়াও চুল পড়ার অন্যান্য কারণগুলি কী কী?
১) বংশগত কারণে
২) বয়সজনিত কারণে
৩) প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব
৪) মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ
৫) বয়ঃসন্ধি, গর্ভাবস্থা, ঋতুবন্ধে পরিস্থিতি এলে
৬) দীর্ঘস্থায়ী কোনও অসুস্থতা।