হাসতে হাসতে যোগাসন করেছেন কখনও?
কর্মব্যস্ত জীবনে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই! চিন্তার ছাপ পড়ছে ত্বকের উপরেও। বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকা, অ্যান্টি-এজিং ক্রিম দিয়ে চেষ্টা করছেন বলিরেখাগুলিকে রুখে দেওয়ার? তবে লাভ হচ্ছে না কোনও কিছুতেই! এ বার যাবতীয় দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে মন খুলে হাসুন তো! সঙ্গে করুন যোগাসন। এতেই লুকিয়ে রয়েছে উজ্জ্বল ঝকঝকে ত্বকের রহস্য।
অনেকেই সুস্বাস্থ্য পেতে যোগাসন করেন। তবে হাসতে হাসতে যোগাসন করেছেন কখনও? কেবল মুখের ঔজ্জ্বল্য ও সৌন্দর্য ধরে রাখাই নয়, শরীরে নানা রোগব্যাধি দূর করতেও এই প্রকার যোগাসনের জুড়ি মেলা ভার।
১) মন খুলে হাসলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। হৃদ্স্পন্দনের হার নিয়ন্ত্রণে থাকে। হাসতে হাসতে যোগাসন করলে শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছতে পারে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে এই যোগ দারুণ উপকারী।
২) মস্তিষ্কে চাপ যত কম দেবেন, শরীরের কর্মক্ষমতা ততই বাড়বে। হাসলে শরীরে এন্ডোর্ফিনের ক্ষরণ বাড়ে, যা ব্যক্তিকে আনন্দিত ও চাপমুক্ত রাখে। এর ফলে মনমেজাজও থাকে ফুরফুরে।
প্রতীকী ছবি
৩) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপরও হাসি ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। হাসলে শরীর বিশ্রাম ও স্বস্তি পায়, যার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। হাসতে হাসতে যোগাভ্যাস করলে সর্দি-কাশি সহজেই দূরে রাখতে পারবেন।
৪) হজম না হলে শরীরে বড়ই অস্বস্তি হয়। সমস্যা কমাতে মুঠো মুঠো ওষুধেই ভরসা রাখেন মানুষ। ওষুধের পরিবর্তে ‘লাফ্টার যোগ’-এর উপর নির্ভর করতে পারেন। এই উপায় মেনে চললে পেট ব্যথা, গ্যাস এমনকি ডায়ারিয়ার প্রতিকারও করা সম্ভব ।
৫) হাসার সময় শরীরে সেরোটোনিন এবং এন্ডোর্ফিন নিঃসৃত হয়। এন্ডোর্ফিন একটি প্রাকৃতিক বেদনানাশক হিসাবে কাজ করে। আর সেরোটোনিন হরমোন মানসিক অবসাদ দূর করে।
৬) দীর্ঘ দিন ধরে অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন? নিয়মিত ‘লাফ্টার যোগ’-অভ্যাস করলে এই সমস্যা দূর হতে পারে।
৭) ডায়াবিটিস দীর্ঘ দিনের সঙ্গী? এই যোগাসন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কী ভাবে করবেন?
ওয়ার্ম-আপ ব্যায়াম হিসাবে হাততালি দিয়ে শুরু করুন। তালি বাজাতে বাজাতে হাতগুলি উপরে, নীচে এবং চারপাশে ঘোরান। এ বার ডায়াফ্রাম এলাকায় হাত রেখে গভীর শ্বাস নিন। তার পর হাসতে শুরু করুন। ধীরে ধীরে হাসির তীব্রতা বাড়াতে থাকুন, হাত তুলুন এবং প্রাণখুলে হাসুন। তার পরে হাত নীচে নিয়ে যান এবং হাসি থামান। ৩০ মিনিট মতো এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যান।