দৌড়ানো আর হাঁটা— ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দুই-ই বেশ উপকারী। ছবি: শাটারস্টক।
জিমে যাওয়ার নাম শুনলেই অনীহা আসে! অথচ বাড়তি ভুঁড়ি চিন্তা বাড়াচ্ছে? অন্য কোনও উপায় না পেয়ে অনেকেই সকাল বা বিকেলে হাঁটতে বেরোচ্ছেন। কেবল হেঁটেই কি ওজন কমানো সম্ভব? তবে হাঁটাই যদি আপনার একমাত্র শরীরচর্চা হয়, তা হলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।দৌড়ানো আর হাঁটা— ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দুই-ই বেশ উপকারী। দৌড়ানোর সময় অবশ্যই বেশি ক্যালরি ঝরে। দ্রুত ওজন কমানো যায়। তবে হেঁটেও কিন্তু মেদ ঝরানো সম্ভব। কিন্তু কী ভাবে হাঁটছেন সেটা খেয়াল রাখতে হবে। তাই প্রতি দিন হাঁটার সময় এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখুন।
গতি: শুরুতেই খুব দ্রুত গতিতে আপনাকে হাঁটতে হবে না। কিন্তু ‘ব্রিস্ক ওয়াক’ করা প্রয়োজন। যদি কোনওদিন হাঁটার বা অন্য কোনও রকম ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকে তাহলে শুরুতে ২০ মিনিটে এক কিলোমিটার যাওয়া যাচ্ছে কি না দেখুন। একটু সড়গড় হয়ে গেলে চেষ্টা করুন ১৫ মিনিটে একই দূরত্ব যাওয়ার।
তবে এ ভাবে হাঁটার সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি তাড়়াতাড়ি হাঁটলে নিঃশ্বাস ঘন ঘন নেবেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে সেই অবস্থাতেও আপনি কথা বলতে পারছেন কি না। কথা বলায় কোনও রকম অসুবিধা হলে সেই অনুযায়ী গতির হেরফের করতে হবে।
হাঁটার সময় ভেবে নিন আপনার পিছনে কেউ রয়েছেন, যাঁকে আপনি প্রত্যেক বার জুতোর তলাটা দেখাতে চাইছেন। ছবি: শাটারস্টক
কী ভাবে হাঁটছেন: গতি বাড়ানোর জন্য কী ভাবে হাঁটছেন সে দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। হাঁটার সময় ‘হিল-টো মেথড’ পদ্ধতি মেনে চলুন। অর্থাৎ হাঁটার সময়ে ভেবে নিন আপনার পিছনে কেউ রয়েছেন। যাঁকে আপনি প্রত্যেক বার জুতোর তলাটা দেখাতে চাইছেন। হাঁটার সময়ে পা তুলতে হবে সেভাবেই।হাত মুঠো করে সামনে-পিছনে দোলান হাঁটার সময়ে। কিন্তু সোজোসুজি ভাবে। দৌড়ানোর মতো ভঙ্গিতে নয়। হাত দোলানোর সঙ্গে পায়ের ছন্দ ধীরে ধীরে মিলে যাবে। এ বার দেখুন কতক্ষণে এক কিলোমিটার যেতে পারছেন। পর দিন সেই তুলনায় ৫ সেকেন্ডও তাড়াতাড়ি যেতে পারলে বুঝবেন কাজ দিচ্ছে।
বিরতি নিয়ে গতি বাড়ান: এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং’ বা এইচআইআইটি। মানে কিছুটা সময়ে যত বেশি গতিতে পারেন হাঁটুন। আবার কিছুটা সময়ে স্বাভাবিক গতিতে হেঁটে একটু জিরিয়ে নিন। ফের দ্রুত গতিতে হাঁটুন। এভাবে হাঁটলে অনেক বেশি উপকার পাবেন।