কী ভাবে এতটা ওজন ঝরালেন তিনি, তা নিয়ে তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে জল্পনার শেষ নেই। প্রতীকী ছবি।
‘বিগ বস ১৩’-র ঘরে যে শেহনাজ় গিলকে দর্শক দেখেছেন, তার সঙ্গে এখনকার শেহনাজ়ের বাহ্যিক কোনও মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। ব্যক্তিগত জীবনের ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে অন্য রূপে ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী। এক ধাক্কায় কমিয়েছেন ১২ কেজি। কী ভাবে এতটা ওজন ঝরালেন তিনি, তা নিয়ে তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে জল্পনার শেষ নেই। কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘রোগা হতে গিয়ে বুঝেছি ওজন কমানো সহজ নয়।’’ শরীরচর্চা এবং ডায়েটে কোনও খামতি রাখতেন না তিনি। শেহনাজ় জানিয়েছেন, তাঁর কোনও চিটমিল ছিল না। যত দিন ওজন কমেনি, তত দিন পছন্দের কোনও খাবার তিনি মুখে তুলতেন না। মুখরোচক কোনও খাবার খেতে ইচ্ছে করলেও নিজেকে আটকে রাখতেন তিনি।
সম্প্রতি নিজের রোগা হওয়ার সফর নিয়ে ফের মুখ খুলছেন অভিনেত্রী। ছবি: সংগৃহীত
১২ কেজি ওজন কমানো মুখের কথা নয়। খুব কঠোর ডায়েট না করলে এমন সম্ভব নয়। তবে শেহনাজ় জানিয়েছেন, কোনও কঠোর ডায়েট বা সারা দিন শরীরচর্চা করে এমন ফল পাননি। বাড়ির রান্না করা খাবার খেয়েছেন। তবে যে খাবারই খেতেন, পরিমাণে খুব অল্প থাকত। বাইরের খাবার একেবারেই খেতেন না। তেল-মশলা দেওয়া খাবার একেবারেই খেতেন না। প্রচুর পরিমাণে জল খেতেন। পর্যাপ্ত ঘুমোতেন। শরীর আর্দ্র রাখতে মাঝেমাঝে স্ট্রবেরি আর শসা দিয়ে তৈরি স্মুদিও খেতেন।
সম্প্রতি নিজের রোগা হওয়ার সফর নিয়ে ফের মুখ খুলছেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ওজন কমানোর এই পর্বে আরও একটি জিনিস ভীষণ ভাবে সাহায্য করেছে। সেটি হল হলুদ। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলুদ দারুণ উপকারী। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন মেদ ঝরিয়ে দিতে সাহায্য করে। শরীরে জমে থাকা মেদ ঝরাতে হলুদের মতো উপকারী উপাদান খুব কমই রয়েছে। সে কারণে শেহনাজ় তাঁর রোজের ডায়েটে রাখতেন হলুদ। সকালে খালি পেটে শেহনাজ় খেতেন হলুদ দেওয়া চা। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে শেহনাজ় হলদি দুধ খেতেন। আসলে রোগা হওয়ার সময়ে তালিকায় কোন খাবারগুলি থাকবে, সেগুলি নিয়ে পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করাই ভাল। সকলের শারীরিক পরিস্থিতি এক রকম নয়। ফলে, ডায়েট শুরু করার আগে শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। হলুদ রোগা হতে শেহনাজ়কে সাহায্য করলেও, আপনাকে না-ও করতে পারে। হলুদ নিঃসন্দেহে উপকারী। তবে রোজের পাতে রাখার আগে এক বার পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিলে ভাল।