দিনের শুরুটা যদি লাল চা দিয়ে শুরু তার চেয়ে ভাল অভ্যাস নাকি আর কিছুই হতে পারে না। ছবি: সংগৃহীত
গ্রীষ্ম কিংবা শীত— বছরের প্রতিটি ঋতুতেই সকালে উঠে চায়ের কাপে চুমুক না দিলে ঘুমের আলসেমি যেন কাটতেই চায় না। তবে এই চা খাওয়া নিয়ে অবশ্য নানা জনের নানা মত। কেউ দুধ চা খেতে ভালবাসেন তো কেউ আবার লাল চা। দুধ চা না কি লাল চা, কোনটি বেশি উপকারী— এই নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে অহর্নিশ। তবে পুষ্টিবিদরা অবশ্য চোখ বন্ধ করে লাল চায়ের দিকেই ভোট দিয়েছেন। দিনের শুরুটা যদি লাল চা দিয়ে শুরু তার চেয়ে ভাল অভ্যাস নাকি আর কিছুই হতে পারে না। এমনই মত চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদদের। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই পানীয় শরীরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। এই চায়ে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ফাইটোকেমিক্যাল, অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে, যা শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সক্ষম।
হৃদ্রোগের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, লাল চা খেলে কিছুটা হলেও মিলতে পারে উপকার। প্রতীকী ছবি।
শীতকালে সর্দি-কাশি, জ্বরের সমস্যা লেগেই থাকে। এই লাল চায়ের সঙ্গে একটু আদা মিশিয়ে নিলে নিমেষে মিলবে উপকার। শরীর চনমনে করে তুলতে লাল চা বেশ উপকারী। লাল চা খেলে গ্যাস-অম্বল হওয়ারও ভয় নেই। গবেষণা বলছে, লাল চা যত্ন নেয় হৃদ্যন্ত্রেরও। হৃদ্রোগের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, লাল চা খেলে কিছুটা হলেও মিলতে পারে উপকার। লিকার চায়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদ্রোগ দূরে রাখতে সাহায্য করে।
কী ভাবে চা বানালে দূরে থাকবে হৃদ্রোগ?
তুলসী চা
এক বাটি জলে এক মুঠো তুলসী পাতা ফুটতে দিন। টগবগ করে ফুটলে আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট ফোটান। এর পর এতে মেশান এক চামচ মধু আর দু’চামচ লেবুর রস। রোজ না হলেও সপ্তাহে তিন দিন খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
দারচিনি চা
দারুচিনি, গোলমরিচ, লেবুর রস ও মধু দিয়ে বানাতে পারেন ভেষজ চা। এক চামচ দারুচিনির গুঁড়ো, আধ চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, এক চামচ লেবুর রস ও এক চামচ মধুর মধ্যে এক কাপ ফুটন্ত জল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে ছেঁকে নিন। দারচিনির কুমারিন, গোলমরিচের পিপারিন প্রদাহের প্রবণতা কমাবে, বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
অশ্বগন্ধা চা
রোজ সকালে বা বিকেলে এক কাপ অশ্বগন্ধার চা খেতে পারেন। এক কাপ ফুটন্ত জলে এক চা চামচ অশ্বগন্ধা মূলের গুঁড়ো দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন মিনিট ১০-১৫। ছেঁকে লেবুর রস ও মধু দিয়ে খান। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি প্রদাহের প্রবণতা কমবে। সেই সঙ্গে দূরে থাকবে হৃদ্রোগেও।