লক্ষ্মীপুজোয় ডায়াবেটিক রোগীরা উপোস করুন নিয়ম মেনে। ছবি: শাটারস্টক।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো সন্ধ্যাবেলায় অনুষ্ঠিত হয়। সারা দিন উপোস করে সন্ধ্যায় দেবী আরাধনায় বসেন বাড়ির বধূরা। কেউ জল খেয়ে উপোস করেন, কেউ আবার একেবারে নির্জলা উপোস করেন। তবে যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তাঁদের জন্য অনেক ক্ষণ খালি পেটে থাকা কিন্তু যথেষ্ট চিন্তার। সারা দিন ধরে উপোস করে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ অনেকটা কমে গেলে মাথা ঘুরে যেতেই পারে। শুধু তা-ই নয়, শর্করার মাত্রা ঘন ঘন ওঠানামা করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের উপোস করার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।
উপোস করার আগে কী কী মাথায় রাখবেন ?
১) যে কারণেই উপোস করুন না কেন, আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সকলের শরীর এক রকম হয় না, তাই সারা দিন না খেয়ে থাকার ধকল নেওয়ার ক্ষমতা সকলের থাকে না।
২) যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তাঁদের নিয়মিত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
৩) উপোস করলেও শরীরে জলের অভাব যেন না ঘটে। ফলের রস, ঘোল, শরবতের মতো তরল সারা দিন ধরে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অনেকেই নির্জলা উপোস করেন, তাঁদের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি, ডায়াবেটিক রোগীদের নির্জলা উপোস না করাই ভাল।
৪) উপোস শুরু করার আগে এমন কিছু খাবার খেতে হবে, যেগুলির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা ‘জিআই’ কম থাকলে রক্তে গ্লুকোজ ছড়িয়ে পড়ার গতি শ্লথ হয়। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সহজে কাহিল হতে দেয় না।
৫) উপোসের সময় খালি পেটে থাকার কারণে অনেকের মনেই মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হয়। তাই উপোস ভাঙার পর সন্দেশ, মিষ্টির দিকেই প্রথম নজর পড়ে। অথচ এই অভ্যাসের কারণে এতে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। উপোসের সময় মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে খেজুর দিয়ে তৈরি মাখানার পায়েস, ফলের রায়তা, কলার স্মুদি খেতে পারেন। সাবুমাখা হোক কিংবা ঘোল— চিনি ব্যবহারের পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করুন। তেলেভাজা কিংবা অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল।