৪০-এর পর ওজন কমানো কঠিন হয়ে যায় কেন? ছবি: সংগৃহীত।
যত চেষ্টাই করুন না কেন, একটা বয়সের পর ওজন কমানো মুশকিল হয়ে পড়ে। এ দিকে, বাড়ির লোকের কথা শুনে খাওয়াদাওয়া একেবারে কমিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু ওজনে পরিবর্তন না আসায়, কেউই বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না। সকলেরই বদ্ধমূল ধারণা, বাড়িতে লোভ সম্বরণ করতে পারলেও, বাইরে গিয়ে যা ইচ্ছা খাওয়ার ফলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আসলে বিষয়টা ঠিক তেমন নয়। ৪০-এর পর একটু একটু করে বিপাকহার কমতে শুরু করে। তাই ওজন কমানো কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু তাই বলে বিফল মনোরথ হওয়ার কোনও কারণ নেই। সময় লাগলেও, নিয়মিত কয়েকটি কাজ করতে পারলে সমস্যার সমাধান সম্ভব।
১) ওজন বাড়লেই শরীরে হাজারটা রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই ফিট থাকতে নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন। জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে না চাইলে বাড়িতেই কার্ডিয়ো ব্যায়াম করুন। এ ছাড়া, নিয়ম করে হাঁটাহাঁটি, সাইক্লিং, জগিং করতে পারেন। ওজন কমাতে যোগাসনেও ভরসা রাখতে পারেন। শরীর যত সচল থাকবে হজমপ্রক্রিয়াও ততই ভাল হবে, ওজনও বাগে থাকবে।
২) ডায়েট থেকে চিনি বা মিষ্টি একেবারেই বাদ দিয়ে দিন। ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল শর্করা। ডায়েটে শর্করার মাত্রা কমিয়ে এনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ফলে সকালে চিনি দেওয়া দুধ চা, দুপুরে খাওয়ার পর মিষ্টিমুখ, রাত জেগে সিনেমা দেখার সময়ে কেক, চকোলেট খাওয়া— এই সব অভ্যাসে রাশ টানা জরুরি।
৩) ডায়েটে ফাইবার বেশি করে রাখতে হবে। খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে হজমপ্রক্রিয়া ভাল হয়। খাবার ভাল হজম হলে মেদ কম জমে শরীরে। ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট আর ফ্যাটের মাত্রা কমিয়ে প্রোটিন বেশি করে রাখতে হবে।
৪) মানসিক চাপের কারণেও কিন্তু ওজন বেড়ে যায়। আর মানসিক চাপ কমাতে ঘুম ভীষণ জরুরি। রাত জাগার অভ্যাস থাকলে তাতে বদল আনুন। শরীর চাঙ্গা রাখতে দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম পূরণ করতেই হবে।
৫) প্রাতরাশ নিয়ম করে করতেই হবে। প্রাতরাশে ফাঁকি দিলে চলবে না। সারা দিন অল্প করে খাবার বার বার খাওয়ার অভ্যাস করুন। রাতের খাওয়া আটটার আগে সেরে ফেলতে পারলে খুব ভাল। সেটা না করতে পারলে খাওয়ার অন্তত দু’ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান।