দুপুরের খাবার খান সময়ে। ছবি:সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। অনেকেই সেই নিয়ম মেনে চলেন। বাইরের খাবারের বদলে বাড়ির খাবারই খান। কিন্তু তার পরেও মাঝেমাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন। নানা অসুখ-বিসুখেও ভোগেন। সঠিক সময়ে খাওয়া হয় না বলেই এমন হয়। সকালে সময়ে খাবার খেয়ে বেরোলোও দুপুরে খেতে খেতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায় অনেকের। দ্রুত কাজ শেষ করার ব্যস্ততা, দীর্ঘ সময় ধরে চলা মিটিংয়ের ফাঁকে খাবার খাওয়ার সময় পাওয়া যায় না। প্রায় দিন দুপুরের খাবার খেতে বিকেল হয়ে যায়। ফলে গ্যাস-অম্বল লেগেই আছে। দুপুরের খাবার খাওয়ার আদর্শ সময় হল ১১টা থেকে ১টা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে দুপুরের খাবার খাওয়ার সুযোগ হয় না অনেকেরই। সে ক্ষেত্রে গ্যাস-অম্বল ঠেকানোর কিছু উপায় রয়েছে।
জল খাওয়া
দীর্ঘ ক্ষণ পেট খালি থাকলে গ্যাস-অম্বল হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাই খাবার খাওয়ার সময় না পেলে অন্তত এক গ্লাস জল খান। জল গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমায়। তবে একবারে বেশি করে জল খেলে চলবে না। অল্প অল্প করে জল খান। এর ফলে গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার সুযোগ পাবে না।
ফল খান
দুপুরে ভারী খাবার খাওয়ার সুযোগ না পেলে বরং কিছু ফল খেতে পারেন। তবে খালি পেটে সব ধরনের ফল খাওয়া যাবে না। কলা, সবেদা, আতার মতো কিছু ফল খেতে পারেন। ফল অম্বলের ঝুঁকি কমাবে। হজমের গোলমালের ঝুঁকিও থাকবে না। ফল যদি কাছে না থাকে বদলে খেজুর খান।
শেষ পাতে ঘি
দেরি করে খাবার খাওয়ার ফলে অনেক সময়ে মাথাব্যথা, বমি ভাবের মতো নানা সমস্যা দেখা যায়। গ্যাস হওয়ার কারণেই এমনটা হয় মূলত। তবে শেষ পাতে যদি অল্প ঘি কিংবা গুড় খেতে পারেন, তা হলে সুস্থ হবেন দ্রুত।