৪০-এর পরেও কী ভাবে ফিট থাকবেন? ছবি: শাটারস্টক।
বয়স বাড়লে কৃত্রিম রঙে সাদা চুল ঢেকে ফেলা মোটেও কঠিন কাজ নয়। তবে বয়স বাড়লে হাড়ের ঘুণ ধরা প্রতিরোধ করতে গেলে রোদ্দুরে ঘোরাঘুরি আর ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। চুলে রং লাগানোর মতো চটজলদি সমাধান এ ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। হাড়ের প্রধান উপাদান ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস। এ ছাড়াও আছে নানা ধরনের খনিজ। ঋতুবন্ধের পর মহিলাদের পোস্ট মেনোপজাল অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে এ কথাও ঠিক যে, বেশি বয়সে হাড়ের ক্যালশিয়াম কমে গিয়ে হাড়ে ঘুণ ধরার মতো সমস্যা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই হতে পারে। ৪০-এর পরে তাই হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চাই সতর্কতা। জেনে নিন হাড় ভাল রাখার উপায়।
১) হাড়ে ঘুণ ধরা আটকাতে ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবারের উপর জোর দেওয়া উচিত। দুধ, দই, ছানা খাওয়া সবচেয়ে ভাল, যাঁদের মিল্ক অ্যালার্জি আছে তাঁদের সয়াবিনের দুধ, টোফু খাওয়া দরকার। এ ছাড়া ক্যালশিয়াম পাবেন যে কোনও সবুজ শাক সব্জিতেও। এ ছাড়া মাছ, চিকেন, ডিমও খাওয়া দরকার।
২) নিজেকে সব সময়ে সচল রাখতে হবে। এক জায়গায় দীর্ঘ ক্ষণ বসে কাজ করা যাবে না। ঘণ্টাখানেক পর পর চেয়ার থেকে উঠে ঘোরাফেরা করুন। বয়স বাড়লে অনেকেই শরীরচর্চা এড়িয়ে চলেন। ভারী শরীরচর্চা না করলেও হালকা ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে। সকালে বা বিকেলে হাঁটাহাঁটি করুন। হাঁটুর ব্যায়াম করুন।
বংশে থাকলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। ছবি: শাটারস্টক।
৩) ৪০ পেরোনোর পর অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়। ওজন বাড়লে পুরো শরীরের ভার হাঁটুর উপরে পড়তে শুরু করে। তাই হাঁটুর হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে। এই সমস্যা এড়িয়ে চলতে হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি।
৪) অতিরক্ত ধূমপান করলে পুরুষদের টেস্টোস্টেরোন হরমোনের কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে হাড় পলকা হতে শুরু করে, নিয়ম করে মদ্যপান করলে শরীরে নতুন হাড় তৈরির পদ্ধতি ব্যাহত হয় বলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই ধূমপান আর মদ্যপান এই বয়সে এড়িয়ে চলাই ভাল। বংশে থাকলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।
৫) শরীরে পর্যাপ্ত জলের জোগান না থাকলে হাড়ের সন্ধিগুলিতে থাকা তরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হাড় ভঙ্গুর হতে শুরু করে। তাই এই সময়ে বেশি করে জল খেতে হবে।