শিশুর উচ্চতা বাড়ুক বয়সের সঙ্গেই। ছবি:সংগৃহীত।
বাড়ন্ত বয়সে সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত থাকেন সব অভিভাবক। বাইরে থেকে ফিট মনে হলেও ভিতর থেকে সন্তান সুস্থ আছে কি না, তা নিয়ে একটা ভাবনা তো থাকেই। পাশাপাশি, শিশুর উচ্চতা নিয়েও ভেবে হয়রান হতে দেখা যায় বাবা-মাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উচ্চতাও। সকলের ক্ষেত্রে তেমন হয় না। বয়সের সঙ্গে উচ্চতার ভারসাম্য থাকে না অনেক সময়ে। বয়স বাড়লেও উচ্চতা বৃদ্ধির কোনও লক্ষণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় না। শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে এমন হতে পারে। আবার বেড়ে ওঠার সময়ে শরীরের সঠিক যত্ন না নিলেও উচ্চতা সহজে বাড়তে পারে না। সন্তানের রোজের রুটিন যদি খানিক বদলে দিতে পারেন, তা হলে উচ্চতা নিয়ে ভাবনার অবসান হবে।
সুষম ডায়েট
রোল, পাস্তা, পিৎজ়া, বার্গার শিশুদের অন্যতম পছন্দের। তবে এই ধরনের খাবার থেকে দূরে রাখুন সন্তানকে। বরং বেশি করে খাওয়ান শাকসব্জি, দুগ্ধজাত খাবার, মাছ, ফল। এগুলিতে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদান শিশুর বেড়ে ওঠার পথে সাহায্য করবে। খাদ্যাভ্যাস যদি বদলে ফেলা যায়, তা হলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চতাও স্বাভাবিক ভাবেই বাড়বে।
খেলাধুলো
পড়াশোনা আর পরীক্ষার চাপে মাঠে গিয়ে খেলাধুলো করার সুযোগ এখন কমে গিয়েছে। অথচ স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠতে খেলাধুলোরও প্রয়োজন রয়েছে। বাড়ি বসে ভিডিয়ো গেম নয়, বরং ধুলোবালি মেখে ছুটে বেড়ানোর উপকারিতা রয়েছে।
পর্যাপ্ত ঘুম
‘হিউম্যান গ্রোথ হরমোন’ সাধারণত পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। এই হরমোন উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই হরমোন নিঃসরণ স্বাভাবিক থাকে তখনই, যখন ভাল ঘুম হয়। কম ঘুম হলে এই হরমোন নিঃসৃত হয় না। ফলে উচ্চতা বাড়ে না। তাই শিশু রোজ সময়মতো ঘুমোচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নজর দিন।
ভিটামিন ডি বেশি করে খাওয়া
ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়াম উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শরীরে এই দু’টি উপাদানের পরিমাণ কমে গেলে শিশুর উচ্চতা সহজে বাড়ে না। তাই ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়াম আছে, এমন খাবার বেশি করে খাওয়ান। সূর্যের আলো হল ভিটামিন ডি-র উৎস। মাঝেমাঝে সন্তান যাতে রোদের সংস্পর্শে থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখুন।