দই দিয়ে বানিয়ে নিন নানা স্বাদের খাবার। ছবি:সংগৃহীত।
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা— সারা বছর সুস্থ থাকার অন্যতম ভরসা হল টক দই। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, একবাক্যে তা স্বীকার করেন। শেষপাতে তাই টক দই রাখেন অনেকেই। আবার দই আর ওট্স অনেকেরই রোজ সকালের খাবার। দই খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। হজমের গোলমাল ঠেকানো সম্ভব। গ্যাস-অম্বল হওয়ারও সুযোগ থাকে না। মোট কথা নিয়ম করে দই খেলে বহু উপকার মেলে। তবে দই কি শুধু শেষপাতে কিংবা ওট্স দিয়ে খাওয়ার খাবার? তা কিন্তু নয়। দই খাওয়া যায় বিভিন্ন ভাবে। শিশুরা অনেক সময়ে টক দই খেতে চায় না। অথচ বাড়ন্ত বয়সে দই খাওয়া জরুরি। তাই দই দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন বেশ কিছু খাবার। তা হলে এক দিকে দই খাওয়া এবং স্বাদবদল দুই-ই হয়।
আইসক্রিম
বর্ষায় আইসক্রিম খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে দোকান থেকে কিনে না খেয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন দই দিয়ে। টক দইয়ের সঙ্গে চিনি, মধু অথবা ম্যাপেল সিরাপ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ড্রাই ফ্রুটস এবং বিস্কুটের গুঁড়োও মেশাতে পারেন। মিশ্রটি ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ৪-৫ ঘণ্টা রাখলেই তৈরি আইসক্রিম।
প্যানকেক
সকালে খাবারে ওট্স বাদ দিয়ে এক দিন দই দিয়ে বানানো সুস্বাদু প্যানকেক খেয়ে দেখতে পারেন। দই দিয়ে প্যানকেক বানালে বেশ নরম হয়। সেই সঙ্গে ভাল ফোলেও। খেতেও দুর্দান্ত হয়। দইয়ের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে প্যানকেক বানান। খুদেকে টিফিনে দিলে চেটেপুটে খাবে।
পাস্তা সস্
‘হোয়াইট সস্ উইথ পাস্তা’ অনেকেরই পছন্দের খাবার। হোয়াইট সস্ চাইলে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন দই দিয়ে। দইয়ের সঙ্গে কুচনো রসুন, মশলা এবং পাস্তা সেদ্ধ জল দিয়েই বানিয়ে নিন সস্। এই সস্ দিয়ে পাস্তা বানালে রেস্তরাঁর মতো খেতে হবে।