বৃষ্টি যতই উপভোগ করুন, বর্ষায় রোগের হাত থেকে সাবধান থাকতেই হয়। ছবি- সংগৃহীত
রাজ্যে বর্ষা ঢুকতেই প্রতি দিনই প্রায় কিছু ক্ষণের জন্য আকাশ ভেঙে বৃষ্টি হচ্ছে। ভ্যাপসা গরম থেকে বৃষ্টি স্বস্তি দিলেও জমা জল, ঠান্ডা লাগা, জ্বরের মতো সমস্যাও বাড়ছে। বৃষ্টি যতই উপভোগ করুন, বর্ষায় রোগের হাত থেকে সাবধান থাকতেই হয়।
বর্ষায় সবচেয়ে বেশি যে রোগ দেখা যায় তা হল ম্যালেরিয়া। বর্ষার জমা জল থেকে মশাবাহিত রোগ ম্যালেরিয়া বাচ্চা থেকে বড় সকলেরই হতে পারে। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ ছাড়াও বর্ষায় যে রোগটি সবচেয়ে বেশি থাবা বসায় তা হল ডায়রিয়া। বাইরের খাবার, অপরিশোধিত জল থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হলে মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে ডায়রিয়া। বর্ষায় ডায়রিয়ার ঝুঁকি কমাতে চিকিৎসকরা তাই এই সময় বাড়তি সচেতনতা মেনে চলার কথা বলেন।
ডায়রিয়ার লক্ষণগুলি কী কী?
একাধিক বার বমির সঙ্গে জলের মতো মলত্যাগ। মলের সঙ্গে অনেক সময় রক্তও থাকতে পারে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে। ডায়রিয়া হলে শরীরে জলের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে প্রস্রাবের বেগও কম থাকে। এ ছাড়াও হজম ক্ষমতা একেবারে কমে যাওয়া, পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তি। খাবারের প্রতি অনীহা। বমি বমি ভাবের মতো শারীরিক সমস্যাও থাকে।
চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে রোগীকে ‘ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন’ অর্থাৎ ওআরএস খাওয়ানো দরকার। বমি আর পাতলা পায়খানা শুরু হলেই রোগীকে ওআরএস খাওয়ানো শুরু করা জরুরি। খুব বেশি বাড়াবাড়ি হওয়ার আগে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। নয়তো এই রোগ মারাত্মক আকার নিতে পারে।
ডায়রিয়া মূলত রোটাভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। শিশুদের রোটাভাইরাস টিকা দেওয়া হয়। ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে এই টিকা নেওয়া অবশ্যই জরুরি। বাইরে থেকে ফিরে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার পর স্যানিটাইজার মেখে নিন। বাজার থেকে কিনে আনা কাঁচা ফল বা সব্জি রান্নায় ব্যবহার করার আগে ভাল করে ধুয়ে নিন। রাস্তার খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব ঘটলেও ডায়রিয়ার উপসর্গ দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই সময় কোনও ওষুধ না খাওয়াই ভাল। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।