অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার খেলে অনেকেরই গলা-বুক জ্বালা করে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাথমিক ভাবে মেদ ঝরানোর লক্ষ্য নিয়েই ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খেতে শুরু করেছিলেন। বেশ কিছু বছর টানা এক ভাবে ওই পানীয় খেয়েছেন। কিন্তু বিশেষ কোনও পরিবর্তন চোখে পড়েনি। তাই এক দিন বন্ধুর পরামর্শে লেবুর রসের পরিবর্তে অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার খেতে শুরু করেন।
একই ভাবে খেতে হয়, তাই অসুবিধা তেমন কিছু নেই। তবে এই তরলে যে হেতু অ্যাসিডের মাত্রা বেশি, তাই মুখগহ্বর থেকে ওই তরল খাদ্যনালিতে প্রবেশ করা মাত্রই জ্বালার অনুভূতি হয়। ছিপছিপে হওয়ার জন্য সকাল সকাল এমন কষ্ট সহ্য করতে মোটেই ভাল লাগে না। ডিটক্স পানীয় ছাড়া অন্য কোনও উপায়ে অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার খাওয়া যায়?
১) স্যুপ কিংবা স্টু:
শিরশিরে ঠান্ডায় চামচ-ভরা স্যুপের উষ্ণ পরশ মন্দ লাগে না। স্যুপের বাটিতে শীতের সব্জি থাক বা মুরগির মাংস— তার সঙ্গে উপর থেকে এক চা চামচ অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিতে পারেন। নুন-ঝাল-টকের মিশেলে স্যুপের স্বাদ আরও খোলতাই হবে।
আবার, এই ভিনিগারের মধ্যে যে অ্যাসিড রয়েছে তা অন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে। হজম, পেটফাঁপার মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফ্যাট মেটাবলিজ়মেও সাহায্য করে।
২) স্যালাড ড্রেসিং:
স্যালাডের ড্রেসিংয়ে মেয়োনিজ়ের বদলে স্বাস্থ্যকর অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিতে পারেন। সঙ্গে অলিভ অয়েল, সর্ষে আর গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিলেও মন্দ লাগবে না। আরও ভাল স্বাদের জন্য অনেকে স্যালাডের সঙ্গে গুঁড়ো রসুন কিংবা অরিগ্যানোর মতো হার্ব্সও মিশিয়ে নেন।
অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। আচমকা রক্তে ইনসুলিন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতাও রুখে দিতে পারে এই তরলটি।
৩) ইনফিউস্ড টি:
মরসুম বদলের সময়ে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন। তাই সাধারণ চায়ের বদলে ভেষজ চায়ে চুমুক দেন অনেকেই। তার সঙ্গে যদি সামান্য অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নেওয়া যায়, তা হলে চায়ের গুণগত মান আরও বৃদ্ধি পায়। শরীর উষ্ণ রাখতেও সাহায্য করে এই পানীয়টি।