হাড়ের ক্ষয় আটকান। ছবি: সংগৃহীত।
এখন আর শীতকালের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, অস্থিসন্ধির ব্যথা বারোমাস পিছু ধাওয়া করে। অনেকেই নিয়ম করে ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি খান, তবে লাভ বিশেষ কিছু হয় না। হাড়ের ব্যথা বিন্দুমাত্র কমার নাম নেই। এ দিকে শুধু মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে যাওয়াও ঠিক নয়। তাই হাড়ের যত্নে অনেকেই ভরসা রাখেন সব্জির উপর। তবে সব্জি মাত্রেই যে হাড়ের যত্ন নেয়, তা একেবারেই নয়। এমন কিছু সব্জি আছে যা শরীর থেকে ক্যালশিয়াম শোষণ করে নেয়। ফলে হাড়ের ক্ষয়ের জন্য আর বয়সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। কমবয়সেই হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়ে যায়। এই বিপদ এড়াতে কিছু সব্জি খাওয়া কমিয়ে দেওয়াই শ্রেয়।
টমেটো
টমেটো রান্নায় টক-মিষ্টি স্বাদ আনে। তবে টমেটোর প্রতি ভালবাসা আবার হাড়ের ক্ষয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ টমেটোতে আছে সলিসিন নামক উপাদান, শরীর থেকে ক্যালশিয়াম শোষণ করে নেয়। তা ছা়ড়া অতিরিক্ত টমেটো খেলে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে। এই অ্যাসিড হা়ড়ের ক্ষতিও করে।
ফুলকপি
ফুলকপিতে স্বাস্থ্যকর উপাদানের শেষ নেই। তবু হাড়ের জন্য ফুলকপি একেবারেই ভাল নয়। ফুলকপি শরীরে থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। এই হরমোন হাড়ের ক্ষতি করে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে ফুলকপি খেলে হা়ড় নিয়ে ভুগতে হতে পারে।
পালং শাক
পালং শাকের উপকারিতা সম্পর্কে সকলেই অবগত। তা সত্ত্বেও হাড়ের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে পালংশাক একেবারেই কার্যকরী নয়। পালংশাকে রয়েছে অত্যন্ত বেশি পরিমাণে অক্সালেট, যা শরীরে ক্যালশিয়াম শোষণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। পালংশাক হাড়ের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। পালংশাক অস্টিয়োপোরেসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই পালংশাক না খাওয়াই শ্রেয়।