মুসুর ডাল শরীরের জন্য খারাপ কেন? ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে যাওয়ার তাড়ায় রোজ মাছ-মাংস রাঁধা সম্ভব হয় না। প্রতি দিন ডিম খাওয়াও আবার ভাল নয়। তাই শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান দিতে মুসুর ডালই ভরসা। সহজপাচ্য তো বটেই, রান্না করাও সহজ। তাই সাধারণ গেরস্ত বাড়িতে মুসুর ডাল অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পদ। অন্যান্য ডালের চেয়ে মুসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। তা ছাড়া ডাল উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। একটা বয়সের পর প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খেলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অনেকেই প্রোটিনের এই উদ্ভিজ্জ উৎসটির উপর ভরসা করেন। তবে পুষ্টিবিদেরা বলেন, এক কাপ সেদ্ধ মুসুর ডাল থেকে পাওয়া যায় ১৮০ ক্যালোরি। এতে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ১০ গ্রাম এবং ফাইবার রয়েছে ৬ গ্রাম। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে দু’বেলা দু’বাটি ডাল খেলেও প্রোটিনের ঘাটতি মেটানো যায়। তবে, নিরাপদ ভেবে মুসুর ডাল বেশি খেয়ে ফেললেও কিন্তু বিপদ।
মুসুর ডাল বেশি খেলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
১) ইউরিক অ্যাসিড:
যাঁরা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের রোজ এই ডাল না খাওয়াই ভাল। প্রোটিনের পাশাপাশি মুসুর ডালে রয়েছে পিউরিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটিই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। আর্থ্রাইটিস ছাড়া অস্থিসন্ধির ব্যথা বেড়ে যাওয়ার পিছনে কিন্তু মুসুর ডালের ভূমিকা রয়েছে।
২) কিডনির সমস্যা:
যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও মুসুর ডাল খেতে বারণ করেন পুষ্টিবিদেরা। অতিরিক্ত মুসুর ডাল খেলে অক্সালেটের পরিমাণ বেড়ে যায়। কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়ার মূল উপাদান হল অক্সালেট।
অনেকেরই ডাল খেলে অ্যালার্জি হয়। ছবি: সংগৃহীত।
৩) অ্যালার্জি:
অনেকেরই ডাল খেলে অ্যালার্জি হয়। তেমন সম্ভাবনা থাকলে কিন্তু ডাল না খাওয়াই ভাল। না হলে গায়ে র্যাশ বেরোতে পারে, সারা গা ফুলে যেতে পারে। কারও কারও আবার চুলকানির সমস্যাও দেখা যায়। অ্যালার্জিজনিত সমস্যা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছলে শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে।