পিসিওসের সমস্যায় জলখাবারে কী কী খেতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
জীবনযাপনে বেশ কিছু ভুলের ফলে পিসিওএস— এর মতো অসুখের এখন বাড়বাড়ন্ত, এমনটাই মত চিকিৎসকদের। এই অসুখে সাধারণত অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয় মেয়েদের। শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বেশি হওয়ায় ডিম্বাশয়ের চার পাশে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়। এই রোগের কারণে ৫০ শতাংশ মহিলাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এই অসুখ শরীরে বাসা বাঁধলে বাড়তি ওজন, শরীরে লোমের আধিক্য, মাথায় চুল উঠে টাক পড়ে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ে।
পিসিওএস থাকলে খাওয়াদাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণ হলে ঋতুস্রাবও ধীরে ধীরে নিয়মিত হয়ে যাবে এবং এই সমস্যা অনেকটা কমে যাবে। চিকিৎসকদের মতে, পিসিওএস থাকলে হাই ফাইবার, লো-কার্ব ডায়েট মেনে চলতে হবে। মানে ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট কম খেয়ে শাক-সব্জি, ডাল এগুলি বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। তবে তাতেও কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। মাটির তলার সব্জি, যেমন আলু, শাঁকালু, গাজর, বিট একটু কম খাওয়াই ভাল। ফলের মধ্যে আম, কলা, লিচু আর আঙুর বাদে যে কোনও ফল ফেতে পারেন। এই চার ফলে কার্বোহাড্রেট বেশি, তাই এড়িয়ে চলাই ভাল।
জলখাবারে ভারী কিছু খাবার খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। জেনে নিন, যাঁরা পিসিওএস-এর সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা প্রাতরাশে কী কী খাবার রাখতে পারেন।
১) পিসিওএস থাকলে সকালের জলখাবারে ওট্স রাখতে পারেন। ওট্সের স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। তবে স্মুদিতে সাধারণ দুধের বদলে আমন্ড দুধ ব্যবহার করুন। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি কিংবা অন্য কোনও ফল ব্যবহার করতে পারেন।
২) মুগ ডাল বাটা কিংবা বেসনের সঙ্গে সব রকম সব্জি মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন চিলা। এই খাবারটি খেলে বেশ অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে। ভাল মাত্রায় প্রোটিনও যায় শরীরে।
পিসিওএস থাকলে সকালের জলখাবারে ওট্স রাখতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
৩) প্রাতরাশের জন্য বানিয়ে ফেলতে পারেন কিনুয়ার উপমা। কিনুয়ার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ডায়েটে কিনুয়া রাখতে পারেন। সব রকম সব্জি দিয়ে কিনুয়া বানালে শরীরে প্রোটিন ও ফাইবারের ঘাটতি পূরণ হবে।