থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কোন খাবার ভুলেও খাবেন না? ছবি: সংগৃহীত।
থাইরয়েড মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থি। গলা এবং ঘাড়ের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত এই গ্রন্থিটি বিভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে এবং দেহের প্রায় সব ধরনের বিপাকপ্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সময় থাকতে থাইরয়েডের চিকিৎসা না করালে শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে। ঝুঁকি থেকে যায় ক্যানসারেরও। থাইরয়েডের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি, কিন্তু খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে সমান্য খেয়াল রাখলেই এই সমস্যার মোকাবিলা করা যেতে পারে। জেনে নিন থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে রোজকার ডায়েটে কী কী রাখবেন।
থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে কিছু উপাদানের মাত্রা বেশি হওয়া প্রয়োজন। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ডায়েটে জিঙ্ক, আয়োডিন, কপার, আয়রন, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন ই- এর সঠিক ভারসাম্য জরুরি।
থাইরয়েড থাকলে কোন খাবার খাবেন?
কপার এবং আয়রন দুটোই থাইরয়েডের মোকাবিলা করতে জরুরি। টাটকা মাংস, ওয়েস্টার, কাজু, গমের আটায় প্রচুর পরিমাণে কপার রয়েছে। সবুজ শাকসব্জি, বিন, বিভিন্ন ধরনের ডাল, সামুদ্রিক মাছ, পোলট্রির ডিমে রয়েছে আয়রন। সেই সঙ্গেই ভিটামিন সি-এর ভারসাম্য বজায় রাখতে খান লেবু, টোম্যাটো, ক্যাপসিকাম খান। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে সূর্যমুখীর তেল কিংবা বাদাম তেলে রান্না করতে পারেন, এতে ভিটামিন ই থাকে। বিভিন্ন রকম বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, মাশরুমে থাকে সেলেনিয়াম, যা থাইরয়েডের সমস্যা মোকাবিলা করতে প্রয়োজনীয়।
বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, ছোলা জাতীয় খাবার থাইরয়েড বৃদ্ধি করে। ছবি: সংগৃহীত।
কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?
বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, ছোলা জাতীয় খাবার থাইরয়েড বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও সর্ষে, মুলো, রাঙা আলু এড়িয়ে চলাই ভাল। থাইরয়েড বেড়ে গেলে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, চিজ় ডায়েট থেকে বাদ দিন। চিনি, রান্না করা গাজর, পাকা কলা, শুকনো ফল, মধু, ময়দার রুটি, সাদা ভাত, আলু, সাদা পাস্তা, মিষ্টি শরীরে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বৃদ্ধি করে। থাইরয়েড থাকলে কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়াই ভাল। চা, কফি, চকোলেট, নরম পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।