অনিদ্রা রোগের দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
রাতের চোখে অনেকেরই ঘুম নামতে চায় না। সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেও রাতে সঙ্গী হয় অনিদ্রা। দু’চোখ বোজা যেন সবচেয়ে কঠিনতম কাজ হয়ে যায়। অথচ সুস্থ ভাবে বাঁচার জন্য এক পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো জরুরি। অনিদ্রার প্রভাব পড়ে শরীরে। ঘুম না হওয়ার কারণে শরীরে বাসা বাঁধে অসংখ্য রোগবালাই। তবে কিছু অভ্যাস রপ্ত করে নিলে ঘুম আসবে জাদুকাঠির ছোঁয়ায়। ঘুমের দেশে হারিয়ে যাবে মন।
১) টিভি, ল্যাপটপ কিংবা ফোন ব্যবহার করার সময় কমিয়ে আনুন। বৈদ্যুতিন পর্দায় চোখ রাখলেই মস্তিস্ক সজাগ ও সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে এই নিজেকে এই ধরনের পর্দার সামনে থেকে সরিয়ে নিন। যদি কিছু করতেই হয়, তবে একটু দূর থেকে মৃদু সঙ্গীত বাজাতে পারেন। তবে হেডফোন কানে লাগিয়ে ঘুমাবেন না কোনও মতেই।
২) কী খাচ্ছেন তাঁর সঙ্গেও ঘুমের যোগ রয়েছে। ক্যাফিন-সমৃদ্ধ খাবার খেলে বেশ কয়েক ঘণ্টা ঘুম আসে না। কফি ও চকোলেটে এই উপাদানটি থাকে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৬ ঘণ্টা আগেই থামিয়ে দিতে হবে এই ধরনের খাবার। পাশাপাশি রাতের খাবার যথাসম্ভব হালকা রাখাই ভাল অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার খেলে হজমের সমস্যায় ঘুম আসতে বিলম্ব হতে পারে।
৩) ঘুমোতে যাওয়ার সময় অনেকেরই মাথায় হরেক রকমের দুশ্চিন্তা আসে। আর এই দুশ্চিন্তাই অনিদ্রার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই সমস্যাগুলি মাথার থেকে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। এর সবচেয়ে ভাল উপায় রোজ ঘুমানোর আগে দুশ্চিন্তার কথা লিখে রাখা। শুধু দুশ্চিন্তার কথা নয়, আগামী দিনে কী কী কাজ বাকি পড়ে আছে, তা-ও লিখে রাখতে পারেন। এতে অন্তত কিছু সময়ের জন্য মাথা হালকা হয়ে যেতে পারে।