খাবার খেলে মনের চাপ লাঘব হবে? ছবি: সংগৃহীত।
জীবনযাপনের গতির সঙ্গে দৌড়তে গিয়ে অনেক সময়ে হাঁপিয়ে ওঠেন। ঘরে-বাইরে সমানতালে ‘তাল’ দিতে পারেন না। প্রতিনিয়ত উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা গ্রাস করতে থাকে। মন ভাল রাখতে, হাতের সামনে মুখরোচক খাবার যা পান, তা-ই খেয়ে ফেলেন। তাতে দেহের ওজন এবং মানসিক চাপ, দুই-ই সমানতালে বেড়ে চলেছে। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে খাবারেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তবে যে কোনও খাবার খেলেই চলবে না।
উদ্বেগ, অবসাদ এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ওমেগা-৩ এবং ভিটামিন ডি-এর মতো খনিজগুলির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। কোন কোন খাবার খেলে এই উপাদানগুলি শরীরে পৌঁছবে, জেনে নিন।
১) ডার্ক চকোলেট:
ডার্ক চকোলেটে কোকোর পরিমাণ প্রায় ৭০ শতাংশ। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েডে সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি, ‘হ্যাপি’ হরমোন বা এনডরফিন ক্ষরণে সহায়তা করে। ফলে উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যা খানিকটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অল্প হলেও ডার্ক চকোলেটে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করতে সাহায্য করে এই খনিজটি।
২) সামুদ্রিক মাছ:
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উদ্বেগ, অবসাদ বা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। সামুদ্রিক মাছে এই উপাদানটি থাকে ভরপুর মাত্রায়। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণও বেশি। এই খনিজটি মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৩) ক্যামোমাইল টি:
দিনভর কাজের ক্লান্তি, অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করতে অনেকেই ক্যামোমাইল চায়ে চুমুক দিয়ে থাকেন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই পানীয়টি স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করতেও সাহায্য করে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্যামোমাইলের মধ্যে ‘সিডেটিভ’ জাতীয় কিছু উপাদান রয়েছে। অনিদ্রাজনিত সমস্যা থাকলেও পুষ্টিবিদেরা ক্যামোমাইলের চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।