রোদের তেজ থেকে চোখকে বাঁচাতে ‘সানগ্লাস’ অপরিহার্য বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। ছবি: সংগৃহীত।
ঝলসে যাওয়া রোদে শুধু শরীর নয়, চোখেরও যত্নের প্রয়োজন। অনেকেই রোদচশমাকে দিনের বেলার সাজগোজের একটি অঙ্গ বলে মনে করেন। রোদের তেজ থেকে চোখকে বাঁচাতে ‘সানগ্লাস’ অপরিহার্য বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। কারণ, সূর্যের ইউভি রশ্মি যেমন ত্বকের ক্ষতি করে, তেমনই চোখের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে। চোখে ব্যথা, অ্যালার্জি, শুষ্ক চোখ, এমনকি দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। প্রয়োজন ছাড়া সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ঘর থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই। তবে একান্ত যদি বেরোতেই হয়, সে ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় মেনে চলতে হবে।
১) রোদচশমা ব্যবহার করতেই হবে
সানগ্লাস কিনতে হয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। চোখের উপযুক্ত, ইউভি রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচাতে পারে, এমন রোদচশমা ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত তাপ থেকে চোখকে বাঁচাতে পারে এমন চশমা কিনতে হবে। সে ক্ষেত্রে একটু বেশি দাম লাগলেও ক্ষতি নেই।
২) চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে
গরমে শরীরকে আর্দ্র রাখতে গেলে পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। তেমনই চোখের জল চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য। শরীরে জলের অভাব হলে তার প্রভাব সব চেয়ে বেশি পড়ে চোখে। চোখ যত ভিজে থাকবে, চোখের ক্ষতি তত কম হয়। জল খাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ‘লুব্রিকেটিং’ আইড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে গোল গোল করে শসা কেটে চোখের উপর দিয়ে রাখলেও কাজ হবে। বাইরে বেরোলে ছাতা, টুপি অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন।
৩) সাঁতারের সময়ও চোখে চশমা পরতে হবে
গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতে সাঁতার কাটেন অনেকেই। বিকেলে রোদ পড়লে জলে ডুবে বেশ কিছুটা সময় কাটানোই যায়। চিকিৎসকদের মত, তখনও চোখে চশমা থাকা জরুরি। জল থেকেও চোখে নানা রকম সংক্রমণ হতে পারে। রোদ লেগে যদি চোখে কোনও রকম সমস্যা হয়েও থাকে, তা বেড়ে যেতে পারে জলের সংস্পর্শে।