উৎসবের আবহে বাড়িতে খাওয়াদাওয়ার একটি পর্ব থাকেই। ছবি: সংগৃহীত।
পয়লা বৈশাখ মানেই জমিয়ে ভূরিভোজ। ইলিশ থেকে চিংড়ি, মটন থেকে মিষ্টি— এ দিন বাঙালির পাতে থাকে নানা স্বাদের খাবার। তবে আধুনিক জীবনযাপনে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মতো অসুখ নিত্যসঙ্গী। কোলেস্টেরল থাকলে খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকে। ইচ্ছা করলেও অনেক কিছু খাওয়া যায় না। তবে উৎসবের আবহে বাড়িতে খাওয়াদাওয়ার একটি পর্ব থাকেই। উদ্যাপনে গা ভাসানোর আগে কোলেস্টেরলের কথা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। উৎসব পরবর্তী সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে না চাইলে কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলবেন?
ডিম
শরীরের যত্নে ডিম এমনিতে উপকারী। কিন্তু কোলেস্টেরল থাকলে ডিম এড়িয়ে চলাই ভাল। ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেক বেশি। একটা ডিমে ২০৭ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিম থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
চিজ়
পিৎজ়া, বার্গারের মতো খাবারে ভরপুর চিজ় থাকে। কিন্তু কোলেস্টেরল থাকলে চিজ় পাতে না রাখাই ভাল। চিজ়ে কোলেস্টেরলের পরিমাণ ২০ মিলিগ্রাম। কোলেস্টেরল যাতে না বাড়ে, তার জন্য চিজ় এড়িয়ে চলুন।
ভাজাভুজি
কোলেস্টেরল থাকলে ডোবা তেলে ভাজা কোনও খাবার থেকে দূরে থাকতে বলেন চিকিৎসকরা। কারণ এই ধরনের খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বলে এমন মুখরোচক খাবারের স্বাদ নেবেন না, তা হয় না। বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন এই খাবারগুলি। সে ক্ষেত্রে সাদা তেল বা সর্ষের তেলের বদলে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল।
মিষ্টি
মিষ্টির স্বাদে মন ভাল থাকলেও শরীর ভাল থাকবে কি? মিষ্টি যে শুধু ডায়াবিটিসের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, তা কিন্তু নয়। উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রাও এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যেতে পারে মিষ্টি খেলে। দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করুন।