ট্রেডমিলের সাত সতেরো ছবি: সংগৃহীত
নিয়মিত শরীরচর্চা যাঁরা করেন, তাঁদের মধ্যে ট্রেডমিল নামক যন্ত্রটি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় প্রত্যেক জিমেই এই যন্ত্রটির দেখা মেলে। স্বাস্থ্য সচেতন অনেক মানুষ অবশ্য বাড়িতেও ব্যবহার করেন ট্রেডমিল। তবে ট্রেডমিল কি সকলে ব্যবহার করতে পারেন? কী মত বিশেষজ্ঞদের?
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ট্রেডমিলে হাঁটা বা দৌড়নো খুবই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। কিন্তু কিছু কিছু শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ট্রেডমিল ব্যবহার করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
১। স্থূলতা:অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভোগা মানুষরা ট্রেডমিলে দৌঁড়ালে অস্থিসন্ধির সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কারও ওজন যদি ট্রেডমিলে দৌড়ানোর উপযুক্ত ওজনের তুলনায় বেশি হয় তবে প্রথমে অন্যান্য ধরনের শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন কিছুটা কমিয়ে তার পর ট্রেডমিল ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। এই ওজন অবশ্য ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন রকম হতে পারে।
২। অস্টিওপোরোসিস: এই রোগে হাড় ও অস্থিসন্ধিগুলি দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। এই অবস্থায় কেউ ট্রেডমিলে দৌড়লে হাড় ও অস্থিসন্ধির সমস্যা আচমকা বেড়ে যেতে পারে।
৩। হাঁটুর ব্যথা: হাঁটুর ব্যথা থাকলে এমনিতেই হাঁটাচলা করা সমস্যাজনক হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় ট্রেডমিলে মাত্রাতিরিক্ত হাঁটলে, হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই যাঁদের হাঁটুর সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ট্রেডমিল ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক।
৪। ফ্ল্যাট ফুট: ফ্ল্যাট ফুট আপাত ভাবে খুব একটা ক্ষতিকর না হলেও দৌড়ানোর সময় বেশ সমস্যা তৈরি করতে পারে। যাঁদের দুই হাঁটু পাশাপাশি স্পর্শ করে, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই অবস্থায় ট্রেডমিলে দৌড়নোর সময় কোনও ভাবে হোঁচট খেলে বা ভারসাম্য হারিয়ে গেলে চোট লাগার ঝুঁকি থেকে যায়।
৫। পিঠের সমস্যা: পিঠের সমস্যা থাকলে কিংবা লর্ডোসিস, স্কোলিওসিস ও কাইফোসিসের মতো অঙ্গবিন্যাসগত সমস্যা থাকলে ট্রেডমিল ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
এ সব ছাড়াও ট্রেডমিল ব্যবহার করার আগে দেহের কোথাও পেশির দুর্বলতা সংক্রান্ত সমস্যা আছে কি না, সেই বিষয়েও অবগত হওয়া দরকার। অন্যথায় ট্রেডমিলে হাঁটা বা দৌড়নোর সময় দেহের ভারসাম্য বিগড়ে গিয়ে বিপদ হতে পারে।