খাওয়ার পর অন্তত তিন ঘণ্টা কোনও রকম যোগাভ্যাস করা উচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত
ব্যস্ততার যুগে জিমে যাওয়ার সময় নেই? অথচ নিজেকে সুস্থ না রাখলেই নয়। ব্যস্ততার মাঝেও সকালবেলা প্রাণায়াম করার কথা ভাবছেন? নিয়মিত প্রাণায়াম অভ্যাস ও চর্চার মাধ্যমে কাবু করা যায় নানা রোগবালাই।
রোজ প্রাণায়ামের অভ্যাস ফুসফুস সুস্থ রাখে। শ্বাসযন্ত্রের নানা সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এই যোগের জুড়ি মেলা ভার। এ ছাড়া বাড়ায় হজম করার ক্ষমতাও। কোনও রকম মেশিন বা যন্ত্র নয়, প্রাণায়ামের মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ করে, যা শরীরের জন্য খুব ভাল। বেশ কিছু প্রাণায়ামের মাধ্যমে ক্যানসারের চিকিৎসাও সম্ভব। তবে প্রাণায়াম শুরু করলেই হল না! জানতে হবে সঠিক পন্থাও। প্রাণায়াম করার সময়ে বেশ কিছু ভুলে হিতে বিপরীত হতে পারে। জেনে নিন, প্রাণায়ামের সময়ে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন।
১) দীর্ঘ দিন ধরে কোনও অসুখে ভুগছেন? প্রাণায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। অনেক রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা প্রাণায়াম এড়িয়ে চলার কথাই বলেন। হৃদ্রোগ ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে কপালভাতি প্রাণায়াম করা উচিত নয়। যাঁদের শরীরে রক্তচাপ কম, তাঁদের শীতকারি প্রাণায়াম এড়িয়ে চলতে বলা হয়।
প্রতীকী ছবি
২) কেবল প্রাণায়াম করলে হবে না, যোগাসনেও আপনাকে দক্ষ হতে হবে। প্রাণায়াম করলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দূর হয়, আর যোগাসনের মাধ্যমে সেই অক্সিজেন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এই দুইয়ের মেলবন্ধনেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্য ক্ষমতা বেড়ে যায়।
৩) প্রাণায়াম করার সময়ে সর্বদা নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ কয়েকটি প্রাণায়াম ছাড়া মুখ দিয়ে শ্বাস নিলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
৪) প্রাণায়াম করার সময়ে যদি মনে হয় ফুসফুসে চাপ পড়ছে, তা হলে জোড় করে এই যোগ না করাই ভাল। অনেক সময়ে বুকে কফ জমে যায়। ফলে আমাদের শ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে প্রণায়াম করে ফুসফুসের উপর বেশি চাপ প্রয়োগ না করাই শ্রেয়।
৫) খাওয়ার পর অন্তত তিন ঘণ্টা কোনও রকম যোগাভ্যাস করা উচিত নয়। প্রাণায়ামের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ভারী খাবার খাওয়ার পর তা ঠিকমতো হজম হওয়ার সময় দিতে হবে। তার পরেই করুন প্রাণায়াম।
৬) কোনও প্রাণায়াম করার সময়ে ঠিক কত ক্ষণ শ্বাস ধরে রাখবেন, তা ভীষণ জরুরি। ঠিক নিয়ম মেনে প্রাণায়াম করলে তবেই মিলবে সুফল। তাই প্রশিক্ষকের কাছ থেকে সঠিক নিয়ম জেনে নিয়ে তবেই প্রাণায়াম করুন।
৭) কোনও বদ্ধ ঘরে বসে প্রাণায়াম না করাই ভাল। খোলামেলা পরিবেশে প্রাণায়াম করুন। ছাদে গিয়ে কিংবা বাড়ির বারান্দায় বসে প্রাণায়াম করতে পারেন।